মির্জা ফখরুল-আব্বাসের জামিন শুনানি দুপুরে

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আপিলের শুনানি দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে। পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় করা মামলায় ৩য় দফায় আজ শুনানি হচ্ছে। এর প্রথমে দুই দফায় তাদের আদালতে তোলা হলেও জামিন মঞ্জুর হয়নি।

তাদের জামিন আজ হবে কিনা সেই প্রশ্ন বিএনপি নেতাকর্মীদের। তবে আজ তারা জামিন পেয়ে যাবেন বলা হয় প্রার্থনা করছেন তাদের আইনজীবী। 

এর আগে বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রেজাউল করিমের আদালতে তাদের জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। কোর্ট শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।

          আরও পড়ুন : যুব মহিলা লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী 

                             জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ

মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ বলেন, পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা এবং উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পল্টন উপজেলায় করা মামলায় মির্জা ফখরুল এজাহারভুক্ত অভিযুক্ত ব্যক্তি নন। এই মামলায় এজাহারনামীয় দুই আসামি জামিনে পেয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। আমরা আশা করছি, উনি জামিন পাবেন।

অন্যদিকে, মির্জা আব্বাসের আদালতে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, মির্জা আব্বাস এই মামলার এজাহারভুক্ত অভিযুক্ত ব্যক্তি নন। এ মামলায় এজাহারনামীয় দুই  মুখ্য মহানগর হাকিম কোর্ট হতে জামিনে পেয়েছেন। আমরা আশা করছি, তিনিও আজ জামিন পাবেন।

এর প্রথমে সোমবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।

তারও শুক্রবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার দেখিয়ে উকিল হাজির করে পুলিশ। এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত অফিসার পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। 

অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আপিল করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সম্মুখে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন অনেকে।