সফল ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনসহ ৬৭ প্রবাসী সিআইপি নির্বাচিত
দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ২০২০ সালের জন্য ৬৭ জন অনাবাসী বাংলাদেশীকে সিআইপি (কমার্শিয়ালি ইম্পর্ট্যান্ট পারসন-বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) নির্বাচিত করতে যাচ্ছে সরকার। এর মধ্যে বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনিবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে ৫৭ জন এবং বিদেশে বাংলাদেশী পণ্য আমদানিকারক অনিবাসী বাংলাদেশী ক্যাটাগরিতে ১০ জন রয়েছেন। প্রাথমিক বাছাই শেষে সুপারিশের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচন সংক্রান্ত কমিটির সুপারিশের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
‘বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনাবাসী বাংলাদেশী’ ক্যাটাগরিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হওয়া ৫৭ জনের মধ্যে ২৪ জনই সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী।
তারা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান, অলিউর রহমান, মনির হোসেন, এমাদুর রহমান, বায়জুন নাহার চৌধুরী, ইজাজ হোসেন, শাহজাহান বাবলু, আবুল কালাম, মোহাম্মদ শফি, ইউনুছ মিয়া চৌধুরী, মাহবুব আলম, ওমর ফারুক, জসিম উদ্দীন, ফরিদ আহমেদ, খোরশেদ আলম, জসিম উদ্দিন, ফখরুল ইসলাম, জসিম উদ্দীন, আনিস উদ্দীন, আবু সাঈদ মো: হায়দার, মোরশেদুল ইসলাম, রিপন দত্ত, জেসমিন আক্তার, দেলোয়ার হোসেন। এর পরে সর্বোচ্চ ১৩ জন রয়েছেন ওমান প্রবাসী। তারা হলেন- কবির আহমেদ, তৌফিকুজ্জামান, রফিকুল আলম, উত্তম কুমার সাহা, তৌহিদুল আলম, আজিমুল হক, জসিম উদ্দীন, সামসুল আজিম, নুরুল আমিন, ইয়াসিন চৌধুরী, মোরশেদা কবির, উৎপল সাহা, আবু নছর। এ ছাড়াও থাইল্যান্ড প্রবাসী কামরুজ্জামান, সৌদি আরব প্রবাসী নাসির উদ্দিন, জাপান প্রবাসী কাজী সারওয়ার হাবীব, সুলতান মাহমুদ, অঞ্জন কুমার দাশ, কাতার প্রবাসী উমর ফারুক, এনামুল হক চৌধুরী, কুয়েত প্রবাসী মনির হোসেন, ইতালি প্রবাসী জাহাঙ্গীর কবির, তাহমিনা আক্তার মিতু, মালয়েশিয়া প্রবাসী ছাইদুর রহমান, সুইডেন প্রবাসী কাজী শাহ আলম, গ্রিস প্রবাসী আল আমিন শেখ, শামসুল আলম, ব্রুনাই দারুসসালাম প্রবাসী হায়তাজ উদ্দিন, রাশিয়া প্রবাসী আলমগীর জলিল রয়েছেন।
বিদেশে বাংলাদেশী পণ্য আমদানিকারক অনিবাসী বাংলাদেশী ক্যাটাগরিতে ১০ জন রয়েছেন। এর মধ্যে মালয়েশিয়া প্রবাসী আখতার হোসেন, অহিদুর রহমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী মোজাম্মেল হক, সেলিম, কাতার প্রবাসী জালাল আহমেদ, থাইল্যান্ড প্রবাসী রিয়াজ করিম খান, ইতালি প্রবাসী নজরুল ইসলাম, মালদ্বীপ প্রবাসী সোহেল রানা, আমেরিকা প্রবাসী মারুফা আহমেদ, কুয়েত প্রবাসী আবুল কাশেম।
নির্বাচিত সিআইপিরা প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে দুই বছর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকালীন বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র পাবেন ও সরকার নিয়োজিত সংশ্লিøষ্ট বিষয়ক নীতিনির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন।
এ ছাড়া সিআইপিরা দেশ ও বিদেশে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে অগ্রাধিকার পাবেন। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, একুশে ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস উপলক্ষে বিদেশের বাংলাদেশ মিশনে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পাবেন। সড়ক, বিমান, নদীপথে ভ্রমণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকিট পাবেন। হোটেল- রেস্তোরাঁয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। চিকিৎসায় হাসপাতালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শয্যা সুবিধা পাবেন।
এ ছাড়া স্ত্রী-স্বামী, নির্ভরশীল পুত্র-কন্যা নিজেদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কেবিন সুবিধা পাবেন। বিমানবন্দরে সিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার এবং তারকা হোটেলসহ সব আবাসিক হোটেলে বুকিং পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন তারা। এর মেয়াদ থাকবে দুই বছর। এ ছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং তাদের বিনিয়োগ ‘ফরেন প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট (প্রমোশন অ্যান্ড প্রটেকশন) আইন, ১৯৮০’-এর বিধান অনুযায়ী সংরক্ষণ করা হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশে উপস্থিত থাকলে বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে এবং সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন সিআইপিরা।
What's Your Reaction?