বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞাসা করলে হয়, এত লাফালাফি কীসের

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির আন্দোলনের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তো ৩০টা সিট পেয়েছে। তাহলে এত লাফালাফি কেন?

Dec 15, 2022 - 16:45
Dec 15, 2022 - 16:54
 0
বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞাসা করলে হয়, এত লাফালাফি কীসের

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মেয়ে লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বিএনপি নির্বাচন নিয়ে কথা বলে। ২০০৮ বর্ষের নির্বাচন নিয়ে তো কথা হয়নি। জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে কেউ তো সে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। ৩০০ সিটের নির্বাচনে বিএনপি কয়টা সিট পেয়েছে? মাত্র ৩০টা সিট। জাতীয়  পায় ২৭টা সিট। জাতীয় পার্টি আর কয়েকটা সিট পেলে খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেতা হতে পারতেন না। এত লাফালাফি কেন? ২০০৮ এর নির্বাচনেই তো এই ফলাফল।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নতি হয়, যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে। আওয়ামী লীগই দেশের মানুষকে কয়েকটি দেওয়ার জন্য পারে। বিএনপিসহ যারাই প্রথমে ক্ষমতায় ছিল, দেশের মানুষকে কিছুই দিতে পারেনি। ২১ বছর এ দেশের লোক নির্যাতিত, শোষিত এবং বঞ্চিত।

তিনি বলেন, সাংবাদিকরা ভুলে গেছেন, ২০০১ সালে দক্ষিণাঞ্চলে কোনো সাংবাদিক ঢুকতেই পারতেন না। সে অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছিল। গৌরনদী হতে একটা গ্রুপ কোটালিপাড়ায় এসে ছায়া নিয়েছে ৭১’ এর মতো।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি আমলের নির্যাতন আর ৭১ এর ঘটনার ভিতরে তফাত দেখি না। যুব মহিলা লীগের নেত্রীরাই তাদের বিপক্ষে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। ওই সময় একদিকে পুলিশ আরেকদিকে ছাত্রদলের গুন্ডাবাহিনী অকথন নির্যাতন করেছে আমাদের মেয়েদের ওপর। রাস্তায় ফেলে কাপড় ছিঁড়ে, চুল ছিঁড়ে যে অত্যাচার করেছে, আমরা এসে তবুও সেটি করিনি। আমরা দেশের উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছি।

পায়রা উড়িয়ে যুব ভদ্র মহিলা লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী  ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করছে যুব মহিলা লীগ।’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক অপু উকিলের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

২০০২ বছরের ৬ জুলাই গঠিত হয় যুব মহিলা লীগ। সেসময় নাজমা আক্তারকে আহ্বায়ক ও অপু আইনজীবীকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ১০১ সদস্যের সমিতি করা হয়। সংগঠনটির প্রথম সম্মেলন হয়ে যায় ২০০৪ সালে। এতে নাজমা আক্তারকে সভাপতি ও অপু উকিলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তিন বছর পর পর সম্মেলনের গঠনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও ১৩ বছর পর হয়ে যায় দ্বিতীয় সম্মেলন। ২০১৭ বর্ষের ১৭ মার্চ যুব মহিলা লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে ফের নাজমা আক্তার এবং অপু আইনজীবী নেতৃত্বে আসেন।  নিউ নেতৃত্বের প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow