গ্যাসের দামের বৃদ্ধি পরোক্ষ প্রভাব পড়বে ভোক্তাদের ওপর
নতুন যে দাম নির্ধারণের প্রস্তাব তারা নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছে, তা বর্তমান মূল্যের প্রায় দ্বিগুণ। মোট পাঁচটি সম্প্রদান কোম্পানি গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব জমা দিয়েছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে
বাংলাদেশের গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
নতুন যে দাম নির্ধারণের প্রস্তাব তারা নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছে, তা বর্তমান মূল্যের প্রায় দ্বিগুণ। মোট পাঁচটি সম্প্রদান কোম্পানি গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব জমা দিয়েছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে। তবে এই আবেদন নিয়মমাফিক না হওয়ায় বিইআরসি তা ফেরত পাঠিয়েছিল। অতঃপর আবার দুইটা এজেন্সি একই রকম প্রস্তাব জমা দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অভিভাবক হিসেবে মায়ের স্বীকৃতি নিয়ে রায় ২৪ জানুয়ারি
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল জলিল বিবিসি বাংলাকে বলেছেন,''প্রস্তাব করার জন্য আমাদের যে আইন এবং প্রবিধান রয়েছে, তাদের আবেদনগুলো সেই বিধান অনুযায়ী হয়নি বলে আমরা ফেরত পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আজ আবার দু'টি সংগঠন কাগজপত্র ঠিক করে প্রস্তাব জমা দিয়েছে।''
''এখন আমাদের মূল্যায়ন কমিটি এগুলো যাচাই করে দেখবে। প্রস্তাব স্বীকার্য হলে সব পক্ষকে নিয়ে গণশুনানি হবে। মূল্য বাড়বে কিনা, কী হবে - তা গণশুনানিতেই সঠিক হবে,'' উনি বলছেন।
আরও পড়ুনঃ জিয়া আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি: ফখরুল
সরকার বলছে, বাংলাদেশের গ্যাস ক্রমেই আমদানি করা এলএনজি নির্ভর হয়ে ওঠায় মূল্য বৃদ্ধি ছাড়া বিকল্প নেই।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের ভিতরে অবশ্য মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, এই মুহূর্তে গ্যাসের প্রাইস বৃদ্ধি অযৌক্তিক। আবার কারও মতে, আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে দাম সমন্বয় করতে হবে।
তবে সাধারণ ভোক্তাদের আশঙ্কা, বিদ্যুৎ, তেলের পর গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে তা তাদের জীবনযাত্রা এইরকম দৃঢ় করে তুলবে।গ্যাসের দাম দ্বিগুণ বাড়ানোর প্রস্তাব ধানমণ্ডির একজন বাসিন্দা জিনিয়া রহমান পাইপলাইনের গ্যাসে দুই চুলা ব্যবহার করেন। এইজন্য প্রতিমাসে তাকে ৯৭৫ টাকা দেওয়ার জন্য হয়।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ সেচব্যবস্থার উন্নয়নে সহযোগিতা করবে জার্মানি
নতুন করে গ্যাসের দর বৃদ্ধির প্রায় অভিন্ন যে প্রস্তাব করেছে সম্প্রদান কোম্পানিগুলো, তাতে আবাসিক ইউজারদের ঘনমিটার প্রতি ৯ টাকা ৩৬ পয়সা হতে বাড়িয়ে ২০ টাকা ৩৫ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থাৎ জিনিয়া রহমানের দুই চুলার জন্য দিতে হবে দুই হাজার ১০০ টাকা।
''এমনিতেই বাজারের সব জিনিসের দর বেড়ে গেছে। শাকসবজি, চাল, পরিবহন, বিদ্যুৎ, পানি- সব কিছুর দর বেড়ে যাওয়ায় কুলিয়ে উঠতে পারছি না। বর্তমান যদি গ্যাসের দামও এতো বেড়ে যায়, তাহলে তো রান্নাবান্নাই বন্ধ করে দিতে হবে,'' বিবিসি বাংলাকে বলেন জিনিয়া রহমান।
What's Your Reaction?