জিয়া আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা মানুষ। ১৯৭১ সালে তিনি যুদ্ধের ঘোষণা দ্বারা নিজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরে ৭ই নভেম্বরও  জাতির ক্রান্তিলগ্নে হাল ধরেছিলেন। হতাশাগ্রস্ত জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি সম্মুখে থেকে নেতৃত্ব দেয়ায় বাংলাদেশের মানব নতুনভাবে উজ্জীবিত হয়ে নতুন স্বপ্ন দেখতে চালু করে। দেশে একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র বখশিশ দিয়েছিলেন। মুক্তবাজার অর্থনীতি উপহার দিয়েছেন। আজকে আধুনিক বাংলাদেশের উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ সেচব্যবস্থার উন্নয়নে সহযোগিতা করবে জার্মানি 

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দ্বারা শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাত করেন ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা মানুষ। উনি যুদ্ধের ঘোষণা দ্বারা নিজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরে ৭ নভেম্বরও উনি জাতির ক্রান্তিলগ্নে হাল ধরেছেন, হতাশাগ্রস্ত জাতিকে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। তার নেতৃত্ব গুণে বাংলাদেশের মানব নতুনভাবে উজ্জীবীত হয়ে নতুন কল্পনা দেখতে আরম্ভ করে। তিনি একদলীয় শাসন হতে বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। মুক্তবাজার অর্থনীতি বখশিশ দিয়েছেন। আজকে আধুনিক বাংলাদেশের উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

আরও পড়ুনঃ ইরানে স্ত্রীর শিরচ্ছেদ করা ব্যক্তির ৮ বছর জেল

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার দ্বারা দেশকে অগ্রগতি এবং অগ্রগতির দিকে নিয়ে যেতে কল্পনা দেখেছিলেন। তা সত্ত্বেও আমাদের দুর্ভাগ্য যে, তাকে আমরা বেশিদিন পাইনি। বাংলাদেশের শত্রুদের হাতে উনি শহীদ হয়েছেন। বর্তমানেও আমরা তার  ও ১৯ দফাকে সম্মুখে রেখে উপায় চলছি।

বর্তমানে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রের একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টার বিপক্ষে আস্ত কুল জেগে উঠেছে। কুল আজ সংকটে। তা সত্ত্বেও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে আস্ত জাতি জেগে উঠেছে। তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রতিশ্রতিবদ্ধ। ইনশাআল্লাহ আমরা সেই সংঘাত সংগ্রামে জয়লাভকারী হবো বলেও জানিয়ে দেন মহাসচিব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর শশাঙ্ক রায়, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আব্দুল্লাহ আল নোমান, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, মো. আব্দুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুইয়া, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, আবু বকর সিদ্দিক, ফজলুর রহমান খোকন।

আরও পড়ুনঃ  চাকরি ফেরত পাবেন না ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তা, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

পরে বিভিন্ন শরীর এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারাও কুসুম কর্তৃক শ্রদ্ধা জানান। তাদের সেরা হলেন-মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, ডা. মো. আব্দুস সালাম, মৎস্যজীবী দলের মো. আব্দুর রহিম, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, ওমর ফারুক পাটেয়ারী, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, আবুল খায়ের খাজা, কাজী মো. আমীর খসরু, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, মাহবুব আহমেদ বাদল, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মেয়ে দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, শাম্মি আখতার, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ডা. পারভেজ রেজা কাকন, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, প্রকৌশলী আইয়ুব হোসেন মুকুল, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, তানজিল হাসান, তবিবুর রহমান সাগর, আবু আফসান ইয়াহিয়া প্রমুখ।