কারাগা থেকে মুক্তি পেলেন সেই আলী আজম

হাতকড়া আর ডান্ডাবেড়ি নিয়ে মায়ের জানাজা পড়ানো বিএনপি নেতা আলী আজম কারামুক্ত হয়েছেন। এক মাস ৯ দিন কারাভোগ শেষে বুধবার সন্ধ্যায় তিনি মুক্ত হন

Jan 12, 2023 - 11:37
 0
কারাগা থেকে মুক্তি পেলেন সেই আলী আজম
আলী আজমের আইনজীবী মো. আনিসুর রহমান জানান, বিভিন্ন সংবাদপত্রের খবরসহ আলী আজমের বিষয়টি বিচারক নাজমুন নাহারের কাছে পেশ করা হয়: সংগ্রহীত ছবি

হাতকড়া আর ডান্ডাবেড়ি নিয়ে মায়ের জানাজা পড়ানো বিএনপি নেতা আলী আজম কারামুক্ত হয়েছেন। এক মাস ৯ দিন কারাভোগ শেষে বুধবার সন্ধ্যায় তিনি মুক্ত হন। এর প্রথমে গাজীপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ তার জামিন মঞ্জুর করেন।

আলী আজম গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। চন্দ্রা এলাকায় আওয়ামী লীগের ১টি কার্যালয়ে হামলা এবং ভাঙচুরের মামলায় গত বর্ষের ২ ডিসেম্বর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হাতকড়া আর ডান্ডাবেড়ি নিয়ে মায়ের জানাজা পড়ানোর ঘটনায় আলোচনায় আসেন তিনি। এ ঘটনা নিয়ে তখন দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুনঃ বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন মির্জা ফখরুল

আলী আজমের আইনজীবী মো. আনিসুর রহমান জানান, বিভিন্ন সংবাদপত্রের খবরসহ আলী আজমের বিষয়টি বিচারক নাজমুন নাহারের কাছে পেশ করা হয়। পরে তিনি বিস্তারিত জেনে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

আলী আজমের আইনজীবী জানান, জেলখানায় থাকা অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তার মা সাহেরা বেগম বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। এই কথা জানতে পেরে শেষবারের মতো মাকে দেখতে ও মাতার জানাজা নিজে পড়াতে আইনজীবীর দ্বারা ১৯ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন আলী আজম। কিন্তু ওই দিন দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ২০ ডিসেম্বর তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে  পান বিএনপির এ নেতা।

আরও পড়ুনঃ আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে সন্তান প্রসব

প্যারোলে রেহাই পেয়ে সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়ির সাইডে মায়ের জানাজাস্থলে উপস্থিত হন আলী আজম। বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় জানাজা। হাতকড়া এবং ডান্ডাবেড়ি আঁটা অবস্থায় মায়ের জানাজা পড়ান তিনি। মায়ের দাফন শেষে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়ে যায় আলী আজমকে। কিন্তু এই পুরোটা সময় হাতকড়া এবং ডান্ডাবেড়ি আঁটা অবস্থায় ছিলেন তিনি। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

কারাগার থেকে মুক্তির পর পর আলী আজম সাংবাদিকদের বলেন, আমার সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কোনো দোষ না করে গুজব মালায় আমাকে জেল খাটতে হয়েছে। হাজতে থাকা অবস্থায় আমার মায়ের মৃত্যুর সময় প্যারোলে মুক্তি দিলেও দুর্ধর্ষ অপরাধীদের মতো হাতকড়া এবং ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রেখেছে। যা খুবই অমানবিক। এতে আমি এবং আমার পরিবার চরম অপমানিত হয়েছি।


কারাগারে থাকার সময় এবং মায়ের মৃত্যুর পর আলী আজমের বাড়িতে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। তারা তার পরিবারের খোঁজখবর নেন। এজন্য আলী আজম দলের নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow