পদ্মা’ ও ‘মেঘনা’ বিভাগ গঠনের প্রস্তাব স্থগিত, হচ্ছে না এ বছরেও
সরকারের খরচ সংকোচন নীতির কারণে পদ্মা ও মেঘনা নামে নব দুই বিভাগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে।রোববার (২৭ নভেম্বর) দুপুরবেলা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিকার বৈঠক শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে ।
সরকারের খরচ সংকোচন নীতির কারণে পদ্মা ও মেঘনা নামে নব দুই বিভাগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে।রোববার (২৭ নভেম্বর) দুপুরবেলা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিকার বৈঠক শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। জানা গেছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে সেক্টর দুটি করলে অন্তুত ১ হাজার কোটি টাকা করে অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা
ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপর চাপ কমানো ও প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের টার্গেটে প্রায় এক দশক আগে থেকেই নব বিভাগ গঠনের আলোচনা হচ্ছে। ঢাকা বিভাগের বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫টি জেলা- ফরিদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর নিয়ে পদ্মা বিভাগ এছাড়া কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর- এ ছয়টি জেলা মিলে মেঘনা বিভাগ। কুমিল্লা নাম বাতিল করে মেঘনা নামে সেক্টর করা নিয়ে বিএনপিসহ নানারকম মহলের বিরোধিতা বিদ্যমান । সেই সঙ্গে প্রত্যেকটি বিভাগে কমপক্ষে ২৮টি করে নিউ অফিস খুলতে হবে। সেসব দপ্তরে জন্য দরকার বিসাল জনবলসহ আনুষঙ্গিক অনেক বিষয় জড়িত।
এর আগে ২ জুন নিকার বৈঠকের তারিখ নির্ধারিত ছিল। ওই বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে ছিলো 'পদ্মা' এবং 'মেঘনা' সেক্টর গঠনের প্রস্তাব। কিন্তু, পরে সেই বৈঠক স্থগিত হয়। সালের ২১ অক্টোবর ও ৭ ডিসেম্বর ‘মেঘনা’ নদীর নামে কুমিল্লা ও ‘পদ্মা’ নদীর নামে ফরিদপুর বিভাগ হবে বলে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। যা পদ্মা এবং মেঘনা বিভাগ গঠন স্থগিত সালের ২১ অক্টোবর কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা ও মেঘনা বিভাগের বিষয়ে্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি বলেন পদ্মা এবং মেঘনা দুটি নদীর নামে দুটি বিভাগ বানাবো।
তখন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার দাবি জানান কুমিল্লা নামে বিভাগ দেওয়ার। তবুও প্রধানমন্ত্রী এর বিরোধিতা করেন। । শেষে দেশের দুই প্রধান নদীর নামে নব দুই বিভাগের নাম নির্ধারণ করে প্রস্তাব চূড়ান্ত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, যা এখন সরকারের খরচ সংকোচন নীতির কারণে স্থগিত করা হয়েছে ।
What's Your Reaction?