ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের (আইবিবিএল) পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন দেশের নির্বাচিত ২২তম রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি পদত্যাগ করেন বলে বলে ব্যাংকটির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

Feb 14, 2023 - 11:45
 0
ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ
ছবি: সংগৃহীত

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। তাকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাষ্ট্রপতি পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।


বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৩ এপ্রিল। সে অনুযায়ী আগামী ২৪ এপ্রিল সাহাবুদ্দিনের নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কথা।

গত ২০১৭ সালের জুনে জেএমসি বিল্ডার্সের পক্ষে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক নিযুক্ত হন এবং পরে তিনি ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। রাষ্ট্রপতি পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার আগ পর্যন্ত একই পদে বহাল ছিলেন।

ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যানের বাইরে এখন পরিচালক রয়েছেন ১৬ জন। ব্যাংকটিতে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ দুটি। এর মধ্যে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের ফলে এখন বহাল রয়েছেন বিদেশি প্রতিনিধি ইউসুফ আব্দুল্লাহ আল রাজী। আর আরমাডা স্পিনিং মিলের পক্ষে ব্যাংকটির পরিচালক ও চেয়ারম্যান হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক মোহাম্মদ নাজমুল হাসান। ২০১৭ সালে ব্যাংকটির দায়িত্ব নেন তিনি।

সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অন্য সব ব্যক্তির ঊর্ধ্বে। তিনি রাষ্ট্রের প্রধান। তিনি কেবল প্রধানমন্ত্রী ও ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ছাড়া অন্য সব দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী পালন করবেন। তবে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে আদৌ কোনো পরামর্শ দিয়েছেন কি না এবং দিলে কোনো আদালত সে সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের তদন্ত করতে পারবেন না।

প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় ও পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত রাখবেন এবং রাষ্ট্রপতি অনুরোধ করলে যে কোনো বিষয় মন্ত্রিসভায় বিবেচনার জন্য পেশ করবেন।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষমা করার অধিকার আছে রাষ্ট্রপতির। কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের দেওয়া দণ্ড মার্জনা, বিলম্ব ও স্থগিত করতে পারেন রাষ্ট্রপতি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow