সেনাবাহিনীর জন্য সর্বাধুনিক অস্ত্র কিনছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্যোগ-দুর্বিপাকে সেনাবাহিনী যথাযথ ভূমিকা পালন করছে। শক্তিশালী এবং পেশাদার সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে সর্বাধুনিক এবং সময়োপযোগী যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করছে সরকার। রবিবার (৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) ৮৩তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পর্যবেক্ষণে সেরা অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সৌভাগ্য ২০২১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আমরা যেহেতু ২০২১ সালে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আজকের নবীন অফিসাররাই হবে ২০৪১ বছরের সৈনিক। যারা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।

তিনি বলেন, ৭৫ বছরের পর দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গড়ন করে। সেই সময় সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়ন করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আমরা কমফোর্ট চাই, যুদ্ধ নয়। জাতির পিতাই বলেছেন- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়, আমরা তা মেনে চলছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য স্থির করে আমাদের সুবর্ণজয়ন্তী ২০২১ সাল পালন করেছি। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করেছি।

এর প্রথমে সকাল সাড়ে ১০টায় সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে দুপুরে পলোগ্রাউন্ড পাঠে জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি ভাষণ দেবেন।

এদিকে জনসভা উপলক্ষে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নগরের অলিগলি রাজপথ ছেয়ে গেছে পোস্টার, ব্যানার এবং তোরণে। সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে জনসভা ঘিরে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম সফরে ৩০টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এইজন্য জনসভার মঞ্চের সাইডে ভিত্তিফলকগুলো স্থাপন করা হয়েছে।