২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশে কেউ পিছিয়ে থাকবে না: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশে কেউ পিছিয়ে থাকবে না। সামগ্রিক পরিকল্পনার ভেতরে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশে কেউ পিছিয়ে থাকবে না। সামগ্রিক পরিকল্পনার ভেতরে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, ছিন্নমূল মানুষ, নারী ও শিশু অন্তর্ভুক্ত থাকবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে মাদারীপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে উনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুনঃ তুমব্রু সীমান্তে রোহিঙ্গা শিবিরে গোলাগুলি-বিজিবির টহল জোরদার
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দেশের দারিদ্রসীমা ৪০ থেকে কমিয়ে ২১ শতাংশে এনেছে সরকার। হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে ব্যাপক কার্যক্রম সারা বাংলাদেশে চালিত হচ্ছে। দারিদ্রসীমার নিম্নদেশে যারা বাস করছেন, তাদের নানা ধরনের ভাতা দিচ্ছে সরকার। আগামীতে মাতৃতকালীন, বিধবা, নারী, প্রতিবন্ধী, শিক্ষা ভাতাসহ নানা ধরনের ভাতা বাড়ানো হবে। তৃণমূল পর্যায়ে দারিদ্র বিমোচন অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুনঃ গ্যাসের দাম নিয়ে আসতে পারে নতুন সিদ্ধান্ত: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশের কৃষক মাত্র ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। যে উন্নয়নের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেটা হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন। দেশের ব্যাংকিং সেবার ভেতরে কেমন করে কৃষককে অন্তর্ভুক্ত করা যায় সে লক্ষ্যেই এ পরিকল্পনা। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর অধিক নারী। নারীদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বর্তমান বিপুল কার্যক্রম করছে। তাদের দক্ষতার উন্নয়ন, ক্ষুদ্র-মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আনা। নারীদের জন্য জামানতবিহীন ঋণের ব্যবস্থা। তথ্য যন্ত্রের যুগে কম্পিউটারসহ নানারকম প্রশিক্ষণ দ্বারা এগিয়ে আনছে সরকার। ই-কমার্স অনলাইনের মাধ্যমেও নারীরা কেমনে ব্যবসা করতে পারে সেই ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
জাতীয় সংসদের স্পিকার আরো বলেন, ২০০৯ হতে আধুনিক সরকার অবিরাম ক্ষমতায় রয়েছে। এরমধ্যে দারিদ্রের হার শতকরা ৪০ ভাগ থেকে কমিয়ে ২১ ভাগে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
What's Your Reaction?