তুমব্রু সীমান্তে রোহিঙ্গা শিবিরে গোলাগুলি-বিজিবির টহল জোরদার

বান্দরবান: বান্দরবানে তুমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্টে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি এবং আগুন লাগানোর ঘটনায় সেখানে চরম আতংকে দিন কাটছে স্থানীয়দের

Jan 20, 2023 - 17:26
 0
তুমব্রু সীমান্তে রোহিঙ্গা শিবিরে গোলাগুলি-বিজিবির টহল জোরদার
ওই সীমান্তে ৫৩০টি কামরায় ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করতেন : সংগ্রহীত ছবি

বান্দরবান: বান্দরবানে তুমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্টে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি এবং আগুন লাগানোর ঘটনায় সেখানে চরম আতংকে দিন কাটছে স্থানীয়দের। ওই সীমান্তে ৫৩০টি কামরায় ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করতেন। জীবন বাঁচাতে সেখানে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা পাশের গ্রামে আচ্ছাদন নিয়েছেন। অনেকেই খোলা আকাশের পাদদেশে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

আরও পড়ুনঃ গ্যাসের দাম নিয়ে আসতে পারে নতুন সিদ্ধান্ত: বাণিজ্যমন্ত্রী

ঘটনার পর থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা সীমানার ঘুমধুম, তুমব্রু, বাইশারীফাড়ি, কোনারপাড়া, মধ্যমপাড়া এলাকায় তাদের পাহারা জোরদার করেছে। রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা দিল মোহাম্মদ জানান, বুধবার গোলাগুলি ও অগ্নিসংযোগের পর রোহিঙ্গাদের বেশ কয়েকজন মিয়ানমারে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। আচমকা করে উত্তেজনায় সকলেই আতংকিত।

ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে সন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে যায় শুন্যরেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি। এই সময় নারী, শিশুসহ প্রচুর রোহিঙ্গা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে আশ্রয় নেন। পরে তাদের ওই জায়গা হতে তুমব্রু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এলাকায় বিজিবি, র‌্যাব এবং পুলিশের কড়া নজরদারি রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ যুক্তরাষ্ট্রে ২১ গ্যাস ফিলিং স্টেশনের মালিক শহিদুজ্জামান

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা বলেন, সীমান্তের পরিবেশ আকস্মিক করে অশান্ত হয়ে উঠেছে। অধিকাংশ রোহিঙ্গার বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কিন্তু সংখ্যা কয়টি হবে তা এখনও জানা যায়নি। সীমানার সার্বিক ব্যপার বিজিবি কন্ট্রোল করে। তারই এই ব্যাপারে নির্ভুল ইনফরমেশন সরবরাহ করতে পারবেন। ঘটনার পর আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ে অবহিত করেছি। পরবর্তী নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী কাজ করা হবে বলা হয় জানান ইউএনও।

গত ১৮ জানুয়ারি দুপুরে ঘুমধুম ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এরিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে প্রধান করে বিচ্ছিন্নতাবাদী দুইটা সংস্থা আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও) সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।  

এসময় রোহিঙ্গা নাগরিক হামিদুল্লাহ (২৭) এবং মহিবুল্লাহ (২৫) নামে গুলিবিদ্ধ দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কক্সবাজারের উখিয়ার এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার হামিদুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।  

পরে মহিবুল্লাহকে পুষ্ট চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে ঘটনার পরপরই রোহিঙ্গা শিবিরি আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতকারীরা। প্রাণভয়ে প্রচুর রোহিঙ্গা নাগরিক ক্যাম্প ছেড়ে আশপাশে পালিয়ে যায়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow