ভ্যাকসিনেশনে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব
জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতার মাস উপলক্ষ্যে আজ ১৮ জানুয়ারি আনোয়ার খান আধুনিক মেডিকেল কলেজে জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে ‘প্যাপিলোভ্যাক্স’ গণ-ভ্যাকসিনেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে
জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতার মাস উপলক্ষ্যে আজ ১৮ জানুয়ারি আনোয়ার খান আধুনিক মেডিকেল কলেজে জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে ‘প্যাপিলোভ্যাক্স’ গণ-ভ্যাকসিনেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর প্রথমে আনোয়ার খান ডিজিটাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি এন্ড অবস বিভাগের আয়োজনে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিপুল সংখ্যক চিকি]সক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনে হেল্প করে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
আরও পড়ুনঃ কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় আফগানিস্তানে অসুস্থ ১৪০
বুধবার ভোরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল অধ্যাপক ডাক্তার এখলাসুর রহমান, ভাইস প্রিন্সিপ্যাল অধ্যাপক চিকিৎসক হাবিবুজ্জামান চৌধুরী, গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের সেরা প্রফেসর ডা. শেহরিন এফ সিদ্দিকা, অধ্যাপক ডাক্তার মাসুদা বেগম, অধ্যাপক চিকিৎসক আব্দুস অভিবাদন আরিফ, অধ্যাপক ডা. এম আলমগীর চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. জাকিয়া শহীদ, অধ্যাপক ডা. মৌসুমী সেনসহ বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক এবং ছাত্র র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
র্যালি শেষে আলোচনা অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গণটিকা কর্মসূচির আওতায় জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধী ‘প্যাপিলোভ্যাক্স’ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের শ্রেষ্ঠ প্রফেসর ডা. শেহরিন এফ সিদ্দিকা বলেন, জরায়ু মুখের ক্যান্সার মানবী মৃত্যুর অন্যতম কারণ। টাইম এসেছে এ মরণ প্রতিরোধের। এইজন্য সবচেয়ে প্রয়োজন গণসচেতনতা তৈরি ও স্ক্রিনিং এর ব্যবস্থা সবার কাছে নিয়ে যাওয়া। ৯ থেকে ৪৫ বছর বছর পর্যন্ত মেয়েদের সচেতন করা গেলে এবং সঠিক সময়ে ভ্যাকিসিন শিওর করা গেলে আগামী একশত সালের ভিতরে জরায়ু মুখের ক্যান্সার সম্পূর্ণভাবে নির্মল করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুনঃ নরসিংদীতে ব্যাংকের ভেতরে মিলল দুই আনসার সদস্যের মরদেহ
দেশের ১ম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা গত বছর হতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ভ্যাকসিন ‘প্যাপিলোভ্যাক্স’ বাজারজাত শুরু করেছে। প্যাপিলোভ্যাক্স ভ্যাকসিন জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা দেয়, এটা জরায়ুমুখ ক্যান্সারের জন্য দায়ী এইচপিভি ভাইরাসকে প্রতিরোধ করে।
বাংলাদেশে ক্যান্সারে নারী মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার দ্বিতীয় প্রধান কারণ। এই ক্যান্সারে মৃত্যুর প্রধান রিজন অসচেতনতা ও অনেক বছরের অবহেলা। প্রতি বছর দেশে ১১ হাজারের বহু মেয়ে জরায়ুমুখ ক্যান্সারে মারা যায় এবং ৫ কোটিরও বেশি রমণী এর ঝুঁকিতে আছে। ৯ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত সকল সুস্থ নারীকে এ ভ্যাকসিন দেয়ার দ্বারা বাংলাদেশ জরায়ুমুখের ক্যান্সার নির্ম‚লের উপায় অনেকটা এগিয়ে যাবে। এই ভ্যাকসিন দেশে আছে পর্যাপ্ত দিনের চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।
What's Your Reaction?