হাজী সেলিমের ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ এরফান সেলিমের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ এরফান সেলিমের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর এ আদেশ দেন।
এদিন মামলাটি চার্জশুনানির জন্য ধার্য ছিল। ইরফান সেলিম অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ জন্য তার পক্ষে সময় আবেদন করা হয়। এ ছাড়া তার আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় চার্জশুনানি পেছানোর আবেদন করেন।
________________________________________________________
আরও পড়ুনঃ পাহাড়ে র্যাবের অভিযানে ১৭ জঙ্গিসহ গ্রেফতার ২০
________________________________________________________
আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে ইরফান সেলিমসহ ৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। আগামী ৬ মার্চ সাক্ষগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
এরফান সেলিম
- বিচার শুরু হওয়া অপর ৪ আসামি হলেন, এরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মিজানুর রহমান, মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপু ও সহযোগী কাজী রিপন। এদের মধ্যে জাহিদুল বর্তমানে কারাগারে আছেন। মিজানুর ও দীপু জামিনে আছেন এবং কাজী রিপন পলাতক।
২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এসময় হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান ও নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে মারধর করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মমিনুল হক পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
What's Your Reaction?