সারা দেশে পবিত্র জমজমের পানি বিক্রি বন্ধের নির্দেশ : সফিকুজ্জামান
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মার্কেটসহ সারা দেশে পবিত্র জমজমের পানি বিক্রি বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মার্কেটসহ সারা দেশে পবিত্র জমজমের পানি বিক্রি বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
সোমবার সকালে অধিদফতরের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন।
জমজমের পানি
তিনি বলেন, ‘আমার মতে, অবৈধভাবে জমজমের পানি বিক্রি হচ্ছে এবং এটাকে এখানে বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়েছে। এখন এ নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করবে মার্কেট কমিটি। তারা আগামী বুধবারের মধ্যে আমাদের জানাবেন যে, এ বিষয়ে কী করা যায়। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। জমজমের পানি বিক্রি আপাতত বন্ধ থাকবে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা সেখানে কাজ করবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ বিক্রি করলে, প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুনঃ পাঠ্যবই থেকে ইসলাম ধর্মকে বাদ দেয়ার বিষয়টি গুজব : ডা. দীপু মনি
রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীতে প্রকাশ্যে প্রতি লিটার জমজম কূপের পানি ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সময় সংবাদে প্রতিবেদন প্রকাশের পর টনক নড়ে প্রশাসনের। বায়তুল মোকাররম মসজিদের পশ্চিম অংশের মার্কেটে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যান অধিকাংশ ব্যবসায়ী। তবে সেদিন ঘটনার সত্যতা পেলেও চিহ্নিত করা যায়নি মূলহোতাকে। এদিকে জমজমের পানি বিক্রিযোগ্য কি-না, এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শরণাপন্ন হলে, সেখানেও মেলেনি কোনো উত্তর। এ জন্য বিষয়টি নিয়ে সোমবার সকালে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সেমিনারে বসে ভোক্তা অধিদফতর।
আরও পড়ুনঃ ওয়াসার এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
বায়তুল মোকাররম
- এদিকে গতকাল বায়তুল মোকাররম মার্কেটে জমজমের পানি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি হচ্ছে জানতে পেরে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেই অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দেওয়া অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা বিষয়টি জানতে পেরে ছদ্মবেশে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করি। পরে দাম জিজ্ঞেস করলে ব্যবসায়ীরা জানান- ছোট বোতল ৩০০ আর ৫ লিটারের পানি ২৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। কিন্তু পানির উৎস কোথায়, কে দিল তারা তা জানায়নি। এর ফলে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিই আমরা
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আতিয়া সুলতানা, শাহনাজ সুলতানা, সহকারী পরিচালক তাহমিনা বেগম, রজবী নাহার রজনী, আব্দুল জব্বার মন্ডলসহ বায়তুল মোকাররম মার্কেটের মালিক-সমিতির প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা।
What's Your Reaction?