পাঠ্যবই থেকে ইসলাম ধর্মকে বাদ দেয়ার বিষয়টি গুজব : ডা. দীপু মনি

পাঠ্যবই থেকে ইসলাম ধর্মকে বাদ দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব বলে প্রমাণ করেছেন মাদারীপুর রাজৈরের এক শিক্ষক। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এটি প্রমাণ করতে তাকে সহায়তা করেছেন তার অন্যান্য সহকর্মী।

Jan 30, 2023 - 16:50
 0
পাঠ্যবই থেকে ইসলাম ধর্মকে বাদ দেয়ার বিষয়টি গুজব  : ডা. দীপু মনি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলাম ধর্ম বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের নাস্তিক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সম্প্রতি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে একটি গোষ্ঠী : সংগ্রহীত ছবি

পাঠ্যবই থেকে ইসলাম ধর্মকে বাদ দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব বলে প্রমাণ করেছেন মাদারীপুর রাজৈরের এক শিক্ষক। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এটি প্রমাণ করতে তাকে সহায়তা করেছেন তার অন্যান্য সহকর্মী।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলাম ধর্ম বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের নাস্তিক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সম্প্রতি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে একটি গোষ্ঠী। তবে এসব দাবির সত্যতা কতটা, তা নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেছেন রাজৈরের ওই শিক্ষক। 

আরও পড়ুনঃ কক্সবাজারের ‘বঙ্গবন্ধু উৎসব’ শুরু

প্রাথমিক বিদ্যালয়

  • দক্ষিণখালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে তিনি দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বই পর্যালোচনা করেন। অন্যান্য শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে তিনি দেখান, ইসলাম ধর্ম বাদ দেয়ার দাবিগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব।
    পরে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আয়োজিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি অনুষদের ৫টি শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ও ৬টি শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর ১০৩ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের স্বর্ণপদক ও সনদপত্র প্রদান করেন তিনি।
  • বিভিন্ন বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিসহ প্রথম স্থান অর্জনকারী কৃতী শিক্ষার্থীদের মধ্যে চারুকলা, প্রকৌশল, বিজনেস স্টাডিজ, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, জীব ও ভূবিজ্ঞান, কৃষি এবং কলা অনুষদের ৯৬ জনকে ‘বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক, অগ্রণী ব্যংক’, দর্শন বিভাগের ৫ জন শিক্ষার্থীকে ‘ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ স্বর্ণপদক’, চিকিৎসা অনুষদের দুজন শিক্ষার্থীকে ‘ডা. এ কে খান স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুনঃ ওয়াসার এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

তিনি আরও বলেন, ‘এই বিষয়টি আমাদের দেশের অনেক আলেম-ওলামা, ধর্মীয় বক্তা ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের বোঝাচ্ছেন। তবে বিষয়টি কতটা সত্য, তা যাচাই করার জন্য আমি আজ আমার নিজ গ্রামের দক্ষিণখালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসেছি।’ 

লাইভের শুরুতেই তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত দক্ষিণখালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম এবং বর্তমান অন্যান্য শিক্ষককে দেখান। পরে তিনি বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষিকা বকুলের সহায়তায় দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বই থেকে প্রমাণ করে দেখান যে, যেসব বিষয় বা অধ্যায় বাদ দেয়ার দাবি তোলা হয়েছে তার কোনো সত্যতা নেই। 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow