বিদেশিদের ফরমায়েসে বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলবে না: কাদের

বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশিদের আসতে কোনো বাধা নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কারও ফরমায়েশে এদেশে গণতন্ত্র চলবে না

Jan 20, 2023 - 18:26
Jan 20, 2023 - 18:28
 0
বিদেশিদের ফরমায়েসে বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলবে না: কাদের
শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক : সংগ্রহীত ছবি

বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশিদের আসতে কোনো বাধা নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কারও ফরমায়েশে এদেশে গণতন্ত্র চলবে না।   
শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের কাপড় হরণকারীদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি মানায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাই। এই দেশে গণতন্ত্রের যা কিছু অর্জন, সবই কিন্তু আমাদের। পঁচাত্তর পরবর্তীতে শৃঙ্খলিত গণতন্ত্রকে শৃঙ্খল মুক্ত করার অগ্রভাগে ছিলেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে গণতন্ত্র শৃঙ্খল মুক্ত হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রে হওয়ার সম্ভাবনা

“আমরা বলতে চাই এ গণতন্ত্র একটা বিকাশমান প্রক্রিয়া, সময় পরিবর্তন যতই আসবে আমরা শত বাধা বিপত্তির মাঝে আমাদের নেত্রী গণতন্ত্র বিকাশমানে আপ্রাণ চেষ্টা করবে।”

বিদেশিদের নিকট বিএনপির ‘নালিশে’ কাজ হবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে বিদেশিরাও কিছু বলেননি। কারণ তাদের দেশে তত্তাবধায়ক নেই। বাংলাদেশে অহেতুক কি জন্য তত্ত্বাবধায়কের নামে বিএনপির চক্রান্তমূলক রাজনীতি? প্রকৃতপক্ষে বিএনপি রাষ্ট্রের অগ্রগতি অর্জনে হেরে যাবে, তারা আজকে দিশেহারা। প্রবাসীদের কাছে নালিশ করে সেই বিদেশিরাও বিএনপির পক্ষে কিছুই বলে না।

“সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র এসেও তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়নি। তারা যার সঙ্গে ইচ্ছা বৈঠক করুক। কিন্তু আমাদের এখানে গণতন্ত্র আমরাই চালাব। কারও ফরমায়েসে বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলবে না। আমরা নির্বাচন করি, কেমন নির্বাচন করি পর্যবেক্ষক হিসেবে শেখ হাসিনা স্বাগত জানিয়েছে। সে আমেরিকা হতে আসুক, ইউরোপ হতে আসুক, যেখান হতে সাধ পর্যবেক্ষক আসুক এইখানে কোনো বাধা নেই। এখানে কারও জন্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।”

আওয়ামী লীগ সবসময় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে যায় দাবি করে তিনি বলেন, “আমরা ষড়যন্ত্র করি না তবুও ষড়যন্ত্রের শিকার হই। আমরা খুনের রাজনীতিতে আস্থা করি না, অথচ আমরা বারে বারে হত্যার শিকার হই। এটা হল বাংলাদেশের বাস্তবতা।”

‘বিএনপির ঘরেই গণতন্ত্র নেই’ মন্তব্য করে কাদের বলেন, “আজকে বিএনপি কোন সময় যে কী বলে- নিজেদের ঘরটাতে তাদের গণতন্ত্র নেই। ফখরুল সাহেব নিজেরও হয়তো মনে নেই কবে তার সম্মেলন হয়েছে। আমি তিন তিনবার সম্মেলন করে সাধারণ সম্পাদক হয়ে গেলাম, কিন্তু বিএনপি? 

আরও পড়ুনঃ ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশে কেউ পিছিয়ে থাকবে না: স্পিকার

“ঢাকা থেকে তৃণমূলে, আমাদের কয়েক হাজার সম্মেলন হয়ে গেছে, প্রধান থেকে ওয়ার্ড ইউনিট পর্যন্ত। কিন্তু তাদের নির্বাচিত কোনো প্রতিনিধি নেই। সেই সুযোগ তাদের দলে নেই, সহযোগীদের সম্মেলন নেই, কক্ষে বসে সমিতি দিচ্ছে।

“এই দল আবার আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্র শেখাতে আসে। ফখরুল সাহেবদের লজ্জা পাওয়া উচিৎ। তাদের আমলেই গণতন্ত্রের উপর চোট আগত সবচেয়ে বেশি। তাদের আমলে প্রহসনমূলক ১৫ ফেব্রুয়ারি মাগুরা মার্কা নির্বাচন, হাঁ/না ভোট। যেখানে হাঁ ভোটের পার্সেন্টেজ ১১৪ পার্সেন্টও হয়েছে। জিয়াউর রহমমানের হাঁ/না ভোট।”

আরও পড়ুনঃ কারো ফরমায়েশে এদেশে গণতন্ত্র চলবে না: কাদের

বিএনপির আমলে ভোট নিয়ে অনিয়মের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “সকাল ১১টার ভিতরে ভোট শেষ। তাদের আমলে ১ কেটি ২৩ লাখ ফেইক ভোটদাতা হয়েছে, যে জন্য ওয়ান ইলাভেন হয়েছে, এটি অন্যতম কারণ।”

দলের ত্রাণ এবং সমাজ কল্যাণ উপ কমিটির উদ্যোগে আয়োজতি শীতবস্ত্র বিতরণের এই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপ  সর্বোচ্চ একশত জন করে রাখার কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এক সপ্তাহের ভিতরে উপ  গঠন করার কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, “উপকমিটি গঠনে, খুব বৃহৎ কমিটি করলে বসতেও সমস্যা হয়। এটা একশত জনের মধ্যে রাখলে অনেক ভালো হয়। ম্যাক্সিমাম এক শত জনের মধ্যে, ৯১ বা ১০১ সর্বাধিক রাখার জন্য হবে। আমাদের তিন চারশত কর্মী বছরে পার্টি কাজের জায়গায় ঘুরছে। কাজেই উপ কমিটিটা শান্তনা। ওরা যাবে কোথায়, একটটা পরিচয় না থাকলে যাবে কোথায়।”

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ হিতকর সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম আমিন, শরীর বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু বক্তব্য রাখেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow