পর্তুগালে বেতন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে শিক্ষকদের ধর্মঘট
বেতন ভাতা এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রায় প্রতিদিনই ধর্মঘট করে যাচ্ছেন পর্তুগালের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা। সোমবার ফের রাস্তায় নেমেছেন তারা। তবে এবার তাদের সঙ্গে শামিল হয়েছেন ছাত্র/ছাত্রী এবং অভিভাবকগণ।
প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকের বেতন ভাতা খুবই নগণ্য বলা চলে। একই সঙ্গে প্রতিবছর বেতন কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও খরচ বৃদ্ধির সঙ্গে তা খুবই নগণ্য।
রাজধানীর একটি স্কুলের শিক্ষক আন্দ্রে ঢাকা পোস্টকে জানান, শিক্ষকদের এই সমস্যাগুলো অনেক পুরোনো প্রতিবছর সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা কখনোই বাস্তবায়ন হয় না, বর্তমানে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে তাই আমরা রাস্তায় নেমেছি, ছাত্র/ছাত্রী এবং অভিভাবকরাও আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ হুন্ডির থাবায় প্রবাসী আয়ে ধস
অপর একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কারলা বলেন, মাসিক আয় দিয়ে বাসা ভাড়া এবং খাবার খরচ মেটানো সম্ভব হয় না। সম্মানের এই পেশা বেছে নিয়ে আমাদের দারিদ্র্যের সঙ্গে বসবাস করতে হচ্ছে অথচ আমরা প্রত্যক্ষভাবে দেশ গড়ায় অবদান রাখছি।
অভিভাবকদের পক্ষ থেকে সন্তানের পড়ালেখায় বিপত্তি বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হলেও তারা শিক্ষকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন তবে, সন্তানদের দিনের পর দিন ক্লাস বিরতি তাদেরকে কিছুটা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করছে। স্থানীয় এবং প্রবাসী বাংলাদেশি অভিভাবকগণ একই অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন।
আরও পড়ুনঃ সৌদিতে কাজ না পেয়ে দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশির মৃত্যু
উল্লেখ্য, পর্যায়ক্রমে ধর্মঘট চললেও এখনো পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায়নি। শিক্ষক কর্মচারীরা তাদের দাবি আদায়সহ শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন।
What's Your Reaction?