ঘুরতে যাওয়ার আগে আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস জেনে নিন।

টিপস ভ্রমন টিপস এন্ড ট্রিকস

Nov 24, 2022 - 18:12
 0
ঘুরতে যাওয়ার আগে আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস জেনে নিন।
ভ্রমন টিপস এন্ড ট্রিকস

বন্ধু-বান্ধব বা ফেমেলির সঙ্গে দূরে কোথাও বা রাষ্ট্রের বাইরে যখন ভ্রমণে যাবেন, তার প্রথমে প্রিপারেশন করে নিন। ভ্রমণের জন্য আপনি প্রচুর প্রস্তুতি করে থাকলেও ছোট কতিপয় ভুলের কারণে আপনার পুরো আনন্দ ভ্রমণ নিরানন্দে পরিণত হ্য়। এজন্য আপনার মজা ভ্রমণ আরো প্রাণবন্ত ও আনন্দময় করতে আপনাদের জন্য ঈষৎ দরকার কিছু টিপস দিচ্ছি। আশা করছি আপনাদের চমৎকার লাগবে, থাকতে পারবেন চাপমুক্ত। ঘুরতে যাওয়ার প্রথমে আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি টিপস জেনে নিন।

১. বিদেশে ভ্রমণের প্রিপারেশন হিসেবে লাগেজে সঠিক কী কী থাকা উচিত, ঘুরতে যাওয়া এবং পর্যাপ্ত লম্বা টাইমের জন্য থাকা—দুই ক্ষেত্রের জন্যই দুই ধরনের লিস্ট করবেন, ট্যুরের কাজকর্মের ১টি খসড়া পরিকল্পনা করুন । এতে প্রচুর সময় বাঁচবে, সাথে সহজ হয়ে যাবে ভ্রমণ।

২. যাওয়ার টাইম ব্যাগ যতটা সম্ভব পাতলা করুন। প্রয়োজনের বেশি জিনিস নেবেন না। তবে পরিধেয় কাপড়গুলো পরিষ্কারভাবে গুছিয়ে নিন। সঙ্গে রাখার জন্য পারেন লোশন, ক্রিম, বডি স্প্রে, টুথব্রাশ, পেস্ট, শ্যাম্পু, চিরুনি, লিপজেল, ক্যাপ/হ্যাট, ছোট্ট ছাতা, রুমাল, ওয়েট টিস্যু, প্রয়োজন অনুযায়ী প্রভৃতি বিষয় ছোট কোনো পকেট থাকলে তাতে রাখার জন্য পারেন অথবা ভিন্ন কোনো পকেটে ভরে লাগেজে নিতে পারেন।পুরুষরা যাঁরা নিয়মিত সেভ করেন, তাঁরা রেজর-ফোম, এসব নিতে ভুলবেন না যেন।

৩. আপনার স্যান্ডেল-জুতা পলিথিন বা কাগজে মুড়িয়ে লাগেজের একপাশে রাখতে পারেন। খেয়াল করবেন একেবারে নিউ পক্ষান্তরে দৃঢ় জুতা হলে আপনি ভালোভাবে হাঁটতে পারবেন না বা হাঁটলে পায়ে ফোসকা পড়ে যাবে।

৪. আগেভাগেই জেনে রাখুন এলাকার কোথায় কী পাওয়া যায়। না হলে বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন। ট্যুরিস্ট রেস্টুরেন্টগুলো লক্ষ্য না করে চলাই ভালো। যেখানে বেড়াতে গিয়েছেন, সেখানে আশপাশে ঘুরে লোকাল বসবাসকারীরা যেখানে খাদ্য খায়, সেখানে খাওয়া-দাওয়া সারলে খরচটা প্রচুর হ্রাস পায় আসবে।

৫. পকেট খরচ বাঁচিয়ে শিক্ষার্থীরা ভ্রমণে গেলে ব্যয় বেশি না ছাড় হবে চিন্তায় পড়ে যায়, সে ক্ষেত্রে একদম ভ্রমণ মৌসুমে না গিয়ে একটু আগে বা পরে যান। যেমন ঠিক এই সময়টাই এমন একটা সময়। ভ্রমণ মৌসুমে গেলে সকল কিছুতেই একটু বেশি খরচ হয়। কিন্তু একেবারে অফসিজনে যাওয়াটা একদমই কর্তব্য নয়।

৬ . ঘুরতে গিয়ে কোনো রেস্টুরেন্টে খাওয়ার হতে কোনো দর্শনীয় স্থানে পিকনিক করতে পারেন। এতে আপনি স্থানীয় সংস্কৃতি, রীতিনীতি ভীষণ নিকট হতে উপলব্ধি করতে পারবেন আর খরচটাও কমবে। হালকা শুকনো খাবার ও জল রাখা অত্যন্ত জরুরি।

৭ . ভ্রমণ স্থানে এক জায়গা হতে ভিন্ন জায়গায় যাওয়ার ইন্টারনাল ব্যবস্থা পরিষ্কারভাবে জেনে নিন। ভ্রমণের স্থান সম্মন্ধে যথাযথ জ্ঞান না থাকে তাহলে  বা রেন্ট-এ-কারে পর্যাপ্ত সময় অনেক হয়রানির  হতে হয়।

৮. আপনি যদি ভ্রমণে গিয়ে নিজেই গাড়ি চালান, তাহলে ওই এলাকার ট্রাফিক সম্পর্কে সচেতন থেকে ড্রাইভ করুন। গাড়ি পার্কিংয়ের বিষয়ে একটু সতর্ক থাকুন।

৯. সঙ্গে কতিপয় বাড়তি টাকা রাখুন। হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেলে কাজে আসবে। আর সাগরপাড়ে একদমই অসতর্কতা নয়। একটু অসাবধানতার কারণে যেতে পারে আপনার ও আপনার সুপ্রিম মানুষটির প্রাণ। 

১০. ভ্রমণে নিজের নিকট বহন করবেন যে ব্যাগ, সেখানে আপনার জরুরি ছোটখাটো জিনিস রাখুন, এতে সংকট প্রচুর কমে যাবে। অন্য সবকিছু একটা ব্যাগে নিন।

অনেক ব্যাগ হলে নোটিশ যাবে এগুলোর দিকেই আপনাকে বারবার স্মৃতি রাখার জন্য হচ্ছে। এই ছাড়া বাড়িতে যে কাপড় পরবেন, তা লাগেজের একপাশে রাখবেন। ইজি এবং শান্তিতে কাপড় নিন। বিশেষ করে সেখানকার আবহাওয়া অনুযায়ী ইনফরমেশন জেনে আপনি আপনার বাইরে পরার কাপড় গোছাতে পারেন।

১১. ক্যামেরা কিন্তু ভ্রমণের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। অতিরিক্ত ব্যাটারি, স্টোরেজ কার্ড চেক করুন। 

১২. আপনার মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ নিলে অবশ্যই মনে করে তার চার্জারটি ব্যাগে রাখতে ভুল করবেন না। আপনি চাইলে চার্জারটি লাগেজের পকেটযুক্ত ব্যাগে রাখার জন্য পারেন।

১৩. ইয়ারফোন বা এমপিথ্রি ভ্রমণের সময় নিয়ে যেতে পারেন। গানে গানে পথ চললে ভ্রমণ আরো উপভোগ্য হবে।

১৪. টাকা-পয়সা ব্যতীত তো ভ্রমণের কথা চিন্তাই করা যায় না। কিন্তু যে দেশ বা স্থানে যাবেন, সে অনুসারে মুদ্রা এক্সচেঞ্জ করে নিন। কতিপয় সংখ্যা ভাংতি নিশ্চয়ই সঙ্গে রাখুন।

১৫. সঙ্গে দু-একটা বইও নিন। নিশ্চয়ই বৃহৎ কোনো উপন্যাস নয়। হালকা ম্যাগাজিন হলে অনেক ভালো হয়। এই ব্যতীত সঙ্গে খাতা-কলম নিতে পারেন। সহসা কোনো জরুরি ইনফরমেশন পেলে নোট করা যাবে তাতে। তা ব্যতীত জানানো তো যায় না, কোনো অনেক ভালো জায়গা দেখে আপনার ভেতর কবিত্বও চলে আসতে পারে।

১৭. আপনার ঠিকানা, যেখানে যাবেন তার ঠিকানা, নিকটতম কোনো বন্ধু পক্ষান্তরে আত্মীয়স্বজনের নম্বর আপনার লাগেজের ভেতর ছোট নোটবুকে রাখার জন্য পারেন। সবকিছু গোছানো শেষ হলে আবার একটু মনে মনে চিন্তা করতে পারেন লাগেজে কী কী নেওয়া হয়নি।

১৮. ব্যাগে শেষবারের মতো চেক করুন, পাসপোর্ট ও টিকেট ব্যাগে আছে কি না, যেটি আপনি আগেই গুছিয়ে রাখবেন ব্যাগে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow