ভ্রমণে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন

সাধারণত বৃষ্টির মৌসুমে পাহাড়ি এলাকার প্রকৃতির কারণে বহু দুর্ঘটনা হয়। বৃষ্টিতে ঢাল, গর্ত, খানা-খন্দ, চূড়াসহ পাহাড়ের প্রত্যেকটি রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে থাকে। এ পরিস্থিতিতে পথ প্রচণ্ড সুন্দর করে চেনা থাকার পরেও স্থানীয়রা ঝামেলায় পড়েন। আর রাস্তা না জানা পর্যটকদের জন্য দুর্ঘটনায় পড়া স্বাভাবিক ব্যাপার। এ কারণে বৃষ্টির দিন পাহাড় ভ্রমণে পর্যাপ্ত বহু সতর্ক থাকতে হবে।

Nov 21, 2022 - 19:35
Nov 21, 2022 - 19:41
 0
ভ্রমণে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন
ভ্রমণে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন

প্রকৃতিতে হালকা ঠাণ্ডা অনুভভুত হচ্ছে। ভ্রমণের জন্য অনেকে এ সময়টা বেছে নেন। ভ্রমনপিপাসুদের ভিতরে সর্বাপেক্ষা প্রিয় পাহাড় হাইকিং ও ক্যাম্পিং। কিন্তু রোমাঞ্চকর ট্রেইলগুলোর প্রতি স্তরে ধাপেই যেন  পেতে থাকে হাজারও বিপদ। পাহাড় ভ্রমণে দুর্ঘটনা নতুন কোনো ব্যাপার নয়। তাই প্রয়োজনীয় সর্তকতা না নেয়া হলে একটানা যাত্রাটাই অশুভ হয়ে যেতে পারে। তাই নিরাপদ পাহাড় ভ্রমণে কতিপয় সতর্কতা মেনে চলা জরুরি।

সাধারণত বৃষ্টির মৌসুমে পাহাড়ি এলাকার প্রকৃতির কারণে বহু দুর্ঘটনা হয়। বৃষ্টিতে ঢাল, গর্ত, খানা-খন্দ, চূড়াসহ পাহাড়ের প্রত্যেকটি রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে থাকে। এ পরিস্থিতিতে পথ প্রচণ্ড সুন্দর করে চেনা থাকার পরেও স্থানীয়রা ঝামেলায় পড়েন। আর রাস্তা না জানা পর্যটকদের জন্য দুর্ঘটনায় পড়া স্বাভাবিক ব্যাপার। এ কারণে বৃষ্টির দিন পাহাড় ভ্রমণে পর্যাপ্ত বহু সতর্ক থাকতে হবে।

পাহাড়ে  ভ্রমণকারিদের যাত্রার শুরুতেই পাহাড়ি এলাকার আবহাওয়া সম্বন্ধে জানতে হবে। সম্প্রতি ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচণ্ড সহজেই স্থানীয় তাপমাত্রা জেনে নেয়া যায়। ভেজা আবহাওয়ায় পাহাড়ি পথ তো পিচ্ছিল হয়ই; পাশাপাশি গন্তব্য পর্যন্ত যাওয়ার দীর্ঘ পথটুকুও দুর্গম হয়ে ওঠে।

পাহাড়ে ভ্রমণে ঠান্ডা বা গরম যে কোন পরিবেশের জন্য যোগ্য পরিধেয় বাছাই করা উচিত। আর পাহাড়ি এলাকার ক্ষেত্রেও কাপড় বিশেষভাবে বেছে নিতে হবে। ক্লান্তিকর হাইকিং-এর সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য স্বাস্থ্যকে আরামদায়ক রাখতে উপযুক্ত কাপড় ও জুতা সাথে নেয়া জরুরি। এর জন্য ভ্রমণের আগেই পোশাক ও জুতা কিনে রাখার জন্য হবে।

শীতে কাপড়-চোপড় বেশি লাগে মানে এই না যে ব্যাগ অ্যাডমিট করে  করতে হবে। পাহাড় চড়ার জন্য পাতলা থাকা আবশ্যক। কেননা ব্যাগে প্যাক করা যাবতীয় কতিপয় নিজেকেই বহন করতে হয়। ভ্রমণের জন্য সমস্ত গ্যাজেট হতে যেগুলো না নিলেই নয় সেগুলোই কেবল নিতে হবে। অধিক পোশাক নেয়ার ক্ষেত্রে আদার্স সরঞ্জামগুলোর সঙ্গে ভারসাম্য রেখে প্যাক করতে হবে। এখানে সবচেয়ে ইম্পোর্টেন্ট হচ্ছে- ভ্রমণকারীর জন্য ব্যাগের ওজনটি সহজে বহন করার মত হলো কিনা।

অনেকে তাড়াহুড়া অথবা শর্টকাটে যাওয়ার জন্য বিপজ্জনক রাস্তা বেছে নেয়। এখানে মনে রাখা ভালো যে, পর্বতগুলো অথচ কোথাও যাচ্ছে না। একারণে সতর্কতামুলক কাজে বিলম্ব হলে কোন প্রবলেম নেই। বরং তা প্রচুর ভালো না পরিস্থিতি থেকে বাঁচাবে।

একজন পাহাড় আরোহীর দক্ষতা যে স্তরেরই হোক না কেন, প্রত্যেকটি যাত্রাই অন্য ভিন্ন ঝুঁকির হাতছানি দেয়। এজন্য সর্বাপেক্ষা ভালো হয় একজন পেশাদার গাইডকে সাথে রাখা।

যে কোন দীর্ঘ ভ্রমণের টাইম অতীব জরুরি ব্যপার হচ্ছে হাইড্রেটেড থাকা ও শক্তি বজায় রাখার জন্য অন্ন খাওয়া। এই জন্য বিভিন্ন ফলমুলের একসাথে হালকা অন্ন সাথে নিয়ে নিতে হবে। অনেক পানির চাহিদা পূরণের জন্য ১টি রিফিল-যোগ্য পানির বোতল সঙ্গে রাখা যেতে পারে।

পর্বতারোহণের সময় সুস্বাস্থ্যের জন্য গাত্রে খাদ্যের ভালো যোগান অপরিহার্য। প্রধারনত হাইকিং করার সময় ৩০০০ হতে ৬০০০ ক্যালোরি  হতে পারে, যা ফাস্ট পুষিয়ে নেয়া দরকার।

সূর্যের এক্সট্রা তাপ থেকে বাঁচতে এক জোড়া সানগ্লাস ও সানস্ক্রিন রাখা যেতে পারে। এর থেকেও ঠেকা বিষয় হলো ফ্ল্যাশলাইট এবং পাওয়ার ব্যাঙ্ক সঙ্গে রাখা।

হাইকিংয়ের সময় বিশ্রামের জন্য সময় নেওয়া একটি মূল উপায়, যা ভ্রমণকে নিরাপদ, আনন্দদায়ক এবং সতেজ করে তোলে।

পাহাড়ি পথে চলার সময় প্রত্যেকটি পদক্ষেপে মনযোগ দেওয়ার জন্য হবে। একটি ছোট দোষ পদক্ষেপের জন্য গুরুতর সমস্যার ভিতরে ফেলে দিতে পারে। একটি পিচ্ছিল শিলা বা কর্দম মাটিই প্রচুর গুরুতর দুর্ঘটনা ঘটানোর জন্য। একারণে নিরাপদে থাকার জন্য প্রয়োজনে গতি কমিয়ে দেয়া যেতে পারে। তীব্র ঝোপ-ঝাড়, গর্ত, পিপড়ার ঢিবি, ঝিরি রাস্তা পেরনোর টাইম সতর্ক থাকা উচিত।

পাহাড়ি এলাকার পশু ও পোকামাকড় শহরের মত ঝুঁকিহীন নয়। অতিশয় ছোট কোন প্রাণীও বিড়ম্বনার কারণ থেকে পারে। পাহাড়ি পিঁপড়া ও মশাগুলো বেশ বিপজ্জনক হয়। এগুলোর জন্য পোকামাকড় নিরধোক নেওয়ার পরেও সতর্ক থাকতে হবে। কোন কোন এলাকাগুলো এ প্রকারের লাঞ্ছনা বেশি তার জন্য গাইড বা স্থানীয়দের হেল্প নেয়া উচিত।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow