বিএনপির এমপিদের পদত্যাগ: গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন

বিএনপির এমপিদের পদত্যাগের কারণে আসনগুলো শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের ভিতরে সেগুলোতে ভোটগ্রহণ করা হবে বলা হয় জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর

Dec 11, 2022 - 17:54
Dec 11, 2022 - 19:18
 0
বিএনপির এমপিদের পদত্যাগ: গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন
নির্বাচন কমিশনার (ইসি)

বিএনপির এমপিদের পদত্যাগের কারণে আসনগুলো শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের ভিতরে সেগুলোতে ভোটগ্রহণ করা হবে বলা হয় জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। রোববার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি, ওনারা পদত্যাগ করেছেন। এজন্য আসন শূন্য হওয়ার কোনো গেজেট পাইনি। যদি সত্যিকার অর্থেই ওনারা পদত্যাগ করে থাকেন, তাহলে আসন উজাড় হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। স্পিকার বা তার অনুপস্থিতিতে যদি ডেপুটি স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র দেন, তখন গেজেট হবে। গেজেট হলে এরপর আমাদের কাজ শুরু হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত গেজেট না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাজ চালু করার চান্স নেই। কোনো সংসদ মেম্বার পদত্যাগ করলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে এটাই ইসির দায়িত্ব।’

উপ-নির্বাচন হলে কয়েকমাসের মধ্যেই আবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন, এ বিষয়টি সামনে আনলে এ কমিশনার বলেন, ‘এটা তো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের ভিতরে ইলেকশন করতে হবে। ৯০ দিন তো আর যাবে না। গেজেট পাওয়ার পর দেখা যাবে যে দুই মাস লাগতে পারে, দেড় মাসও লাগতে পারে। নির্বাচন করতেই হবে। কারণ আসন  রাখার তো কোনো সুযোগ নেই।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ‘এখন বিষয় হচ্ছে যে সুষ্ঠু নির্বাচন করাটা যদি আসল উদ্দেশ্য হয়ে থাকে, তাহলে আমি বলবো যে ইভিএম ভালো। এদেশের নির্বাচনে যারা হেরে যান, তারাই বলেন যে কারচুপি হয়েছে। কাজেই কেউ যদি হেরে যান বলার সুযোগ থাকবে না, যে কারচুপি হয়েছে। ইভিএমে যতো নির্বাচন করেছি, হেরে যাওয়ার পর দেখেন কোনো অভিযোগ রয়েছে কি না। তা সত্ত্বেও যেখানে ব্যালটে নির্বাচন হয়, সেখানে ইলেকশন ঠিকমত করেনি, ভোট আগে দেয়, পরে দেয়; নানা কথা হয়। ইভিএমের ইফেক্ট প্রসার করার কোনো চান্স নেই। আমাদের সামর্থ্য থাকলে ৩০০ আসনেই ইভিএমে ইলেকশন করতাম।’

ইভিএম নিয়ে বিএনপির অনাস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওনারা প্রথমে থেকেই অনাস্থার কথা বলেছেন। আবার অনেকের আশ্বাস আছে। আমাদের কাজ হলো সবকিছু বিবেচনা করে যেটা সঠিক মনে হবে সেটাই সিদ্ধান্ত নেবো। ৩৯টি নিবন্ধিত দল আছে। সবাই যদি ইভিএম বাতিল চায় যে প্রক্রিয়া রয়েছে সেটাই হবে। আরা একটা দুটি টিম যদি না চায় অন্যরা যদি চায় তাহলে গণতান্ত্রিক উপায়ে যেটা হয়, সেটাই করতে হবে।’

বিএনপির করা সাম্প্রতিক কমিশনের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে উনি বলেন, ‘বিষয়টা হলো যে রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন চাহিদা থাকতে পারে। আমরা কাজের দ্বারা আশ্বাস অর্জনের চেষ্টা করবো। আমাদের কোনো পক্ষপাতিত্ব বিদ্যমান কি না সেটি দেখেন। ইকুয়েল আচরণ করছি কি না সেটা দেখেন। একটা টিম আরেকটা দলের নিকট চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যদি ইলেকশন কমিশনকে লক্ষ্য করা হয়, সেটি তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমাদের প্রচেষ্টা সবসময় থাকবে, যখন যখন মনে হবে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার দরকার, সেই সময় তো অবশ্যই করবো।’

এমপিদের পদত্যাগ নিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘তাদের পদত্যাগ আরেক একটি ইস্যু। যতটা না নির্বাচন সম্পর্কিত, ততটা রাজনৈতিক। এটা স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছি। একজন সংসদ সদস্য তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। এটি সংবিধানে জানানো আছে, যে কীভাবে পদত্যাগ করবেন সেটি জানানো আছে। এখানে ইসির উৎসাহ, নিরুৎসাহিত করার কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘নিবন্ধিত দল হিসেবে আমরা যেকোনো সময় ওনাদের সাথে আলোচনা করতেই চাইতে পারি। ওনারাও চাইতে পারেন। আমাদের যখন যে দায়িত্ব পালন করার কর্তব্য তখন সেভাবেই দায়িত্ব পালন করবো। রাজনৈতিক বিষয়গুলো রাজনীতিবিদরা দেখতে পারবেন সরকার দেখবেন। আমাদের কাজের লিমিট দেওয়া আছে। এটা দল ও সরকারের উপর নির্ভর করে। সরকারের সাথে সভা করে দেওয়ার আয়োজন করা বা সংলাপ করা ইসির দায়িত্ব নয়।’

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow