বিএনপি-জামাত বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন : শেখ পরশ

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বিএনপি-জামাত বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন।

দেশবিরোধী বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সম্মুখে আয়োজিত  যুবলীগ বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ণ  করাই তাদের রাজনীতি। জনগণের দখল বিচার চাওয়া, তারা সেই বিচারের অধিকার জনগণকে দেওয়ার জন্য চান না। বিএনপির প্রত্যেকটা কাজই এদেশের জনগণের বিরুদ্ধে। 

তিনি বলেন, আমি নিজেইতো একজন ভুক্তভুগি। বিএনপি ইনডেমনিটি আইন করে আমার পিতা-মাতার হত্যার মিমাংসার উপায় আবদ্ধ করেছিলেন, জাতির পিতার পরিবার হত্যার বিচারের উপায় রুদ্ধ করে রেখেছিলেন।

শেখ পরশ বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশের স্বাধীনতা দিয়েছে, আর আজকের আওয়ামী লীগ সরকার এদেশে অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছে। আমরা উন্নয়নের শীর্ষে চলে গেছি এবং আমরাই এই উন্নয়নের বিধান সমুন্নত এবং অব্যাহত রাখব,  যে কোন মূল্যে। 

বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নামে অরাজনৈতিক কার্যক্রম অফ করেন। গণতন্ত্রের নামে আপনারা এখন বিধ্বংসী আচরণ করেছেন, সন্ত্রাসী চালচলন করে প্রমাণ করেছেন যে আপনারা কোন রাজনৈতিক দলই না। আবারও প্রমাণ করেছেন আপনারা একটা বিচ্ছিন্নতাবাদি জঙ্গি সংগঠন।

যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী না। অতীতে তারা আন্দোলনের নামে অগ্নি সন্ত্রাস করেছে, গনগণের জানমাল-সম্পদ বিনষ্ট করেছে, মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। বিগত কয়েকদিন ধরে আবারও তারা ধ্বংসলীলায় মেতে উঠেছে। 

তিনি বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছি। যদি এই ফ্যাসিবাদী জামাত-বিএনপি আবারও জনগণের জানমাল-সম্পদ বিনষ্ট করে অশান্তি সৃষ্টি করে তাহলে যুবলীগ ঘরে বসে থাকবে না। জনগণের জানমাল-সম্পদ রক্ষার্থে রাজপথে তাদের সবাইকে প্রতিহত করবে।

এ সময় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, এবং  ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন,  মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের মার্কেটিং সম্পাদক জয়দেব নন্দী, অফিস সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদাসহ কেন্দ্রীয় মহানগর এবং বিভিন্ন শব্দ যুবলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।