মোট ৪৮ বার ফাউলের বাঁশি বাজিয়েছেন আলোচনায় স্প্যানিশ রেফারি : লাহোজ

দোহা, ১০ ডিসেম্বর – রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচের পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে আর্জেন্টিনা। নেদারল্যান্ডসকে তারা হারিয়েছে টাইব্রেকারে গিয়ে।তবে এর আগে এই ম্যাচেও আলোচনায় এসেছে রেফারিং। 

পেনাল্টি শ্যুটআউটের রোমাঞ্চ শেষে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা পৌঁছে গেছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। ২-২ গোলে ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে মেসিরা ৪-৩ গোলে হারিয়েছেন নেদারল্যান্ডসকে। কিন্তু এ ম্যাচের ফলাফল ছাপিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে ম্যাচের ফেরারিং। এই ম্যাচে যে রেফারি অ্যান্টোনিও মাতেউ লাহোজ হলুদ কার্ডই দেখিয়েছেন ১৬ বার!

হলুদ কার্ডই যদি এতবার দেখাবেন, ফাউলের বাঁশি কতবার বেজেছে লাহোজের? উত্তরটা শুনলে চোখ ভাগ্যে উঠে যেতে পারে আপনার। ৪৮ বার! বারে বারে ফাউলের বাঁশি বাজিয়ে খেলার গতি রোধের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন স্প্যানিশ এই রেফারি। 

এমন রেফারিংয়ের কারণে লিওনেল মেসি রীতিমতো শূলে চড়িয়েছেন রেফারি মাতেউ লাহোজকে। প্রথমে অবশ্য বলতে চাননি। বলেছিলেন, ‘আমি কিছু বলতে চাই না, বললে শাস্তি পেতে হবে।’ লাহোজ মেসিকেও কার্ড দেখিয়েছেন একবার।

তবে এরপর কথার প্রসঙ্গে এ নিয়ে কথাটা না বলে পারলেন না মেসি। বললেন, ‘আমার মনে হয় এমন রেফারিকে এই ধরনের ম্যাচে দায়িত্ব দেওয়া উচিত না ফিফার। তিনি এর যোগ্যই না।’

পেনাল্টি শ্যুট আউটে ২ পেনাল্টি ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনার নায়ক বনে যাওয়া এমিলিয়ানো মার্টিনেজও শূলে চড়িয়েছেন রেফারিকে। বলেছেন, ‘তিনি বিশ্বকাপের সবচেয়ে ব্যর্থ রেফারি। তিনি খুবই জেদি। তাকে কিছু বললে তিনি খুবই বাজেভাবে এর জবাব দেন।’

আজ কেন তিনি এইরকম করেছেন, এরও একটা কারণ খুঁজে বের করেছেন এমিলিয়ানো। বলেছেন, ‘আমার মনে হয় স্পেন বিদায় নিয়েছে ইতোমধ্যেই। তিনি তাই আমাদের বিদায়টাও ভীষণ করে চেয়েছিলেন।’

বড় ম্যাচের রেফারিং করতে এসে এমন কতিপয় অবশ্য নতুন নয় লাহোজের। ২০১৭-১৮ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাকে মার্চিং অর্ডার দিয়েছিলেন তিনি। তারপর গার্দিওলাও তাকে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় ফিফার এই রেফারিকে এ ধরনের ম্যাচে দায়িত্ব দেওয়া উচিত না। কারণ সে এটার যোগ্যই না। ’

ম্যাচ জেতার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মেসি বলেন, ‘অনেক আনন্দ, অনেক সুখী লাগছে। ম্যাচটা অতিরিক্ত সময় পক্ষান্তরে পেনাল্টিতে যাওয়ারই কথা ছিল না। আমাদের ভুগতে হতো এরপর। তা সত্ত্বেও আমরা বেরিয়ে এসেছি, যেটা দারুণ। ’