প্রথমার্ধে চার গোল হলেও ড্র নিয়ে বিরতিতে সার্বিয়া-সুইজারল্যান্ড

আক্রমণ আর পাল্টা-আক্রমণে লড়াই হলো জমজমাট। পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে ৯ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে এগিয়ে গেল সার্বিয়া। সুইজারল্যান্ডও কম গেল না, ম্যাচে ফিরল দ্রুতই। সমতায় হতে বিরতিতে গেল দুই দল।স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ শুক্রবার রাতে ‘জি’ গ্রুপের শেষ রাউন্ডের ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে ২-২ গোলে।

ম্যাচটি জিতলে অন্য কোনো হিসাব ছাড়াই শেষ ষোলোয় উঠবে সুইজারল্যান্ড। ড্র করলেও তাদের সুযোগ থাকবে, যদি আরেক ম্যাচে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ক্যামেরুন জিততে না পারে। আর সার্বিয়ার নিজেদের বিজয়ের পাশাপাশি অন্য ম্যাচের ফলও পক্ষে আসতে হবে।

প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত সুইজারল্যান্ড। ডাবল সেভ করে জাল অখণ্ড রাখেন সার্বিয়ার গোলরক্ষক ভানিয়া মিলিনকোভিচ-সাভিচ। ব্রিল এমবোলোর শট ঠেকানোর পর গ্রানিত জাকার প্রচেষ্টা রুখে দেন তিনি। কাদশ মিনিটে নিয়তির ফেরে গোল পায়নি সার্বিয়া। আন্দ্রিয়া জিভকোভিচের শট পোস্টে লাগে।  

২০তম মিনিটে এগিয়ে যায় সুইসরা। বাঁ পক্ষ কর্তৃক বক্সে ঢুকে রিকার্দো রদ্রিগেসের করা ক্রস পরিষ্কার করতে পারেনি সার্বিয়া। জিব্রিল সো বল পেয়ে খুঁজে নেন জেরদান শাচিরিকে। সাবেক লিভারপুল মিডফিল্ডারের বাঁ পায়ের শটে বল সার্বিয়ার ডিফেন্ডার স্ত্রাহিনিয়া পাভলোভিচের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।

জবাব দিতে অধিক সময় নেয়নি সার্বিয়া। ছয় মিনিট পরই একত্ব ফেরায় তারা। বাঁ দিক থেকে দুসান তাদিচের ক্রসে ডি-বক্সে অসাধারণ হেডে গোলটি করেন ভিন্ন ফরোয়ার্ড আলেকসান্দার মিত্রোভিচ।

৯ মিনিট পর এগিয়েও যায় সার্বিয়া। তাদিচের পাস বক্সে পরিষ্কার করতে পারেননি সুইস ডিফেন্ডার রেমো ফ্রয়লার। আলগা বল পেয়ে নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন দুসান ভ্লাহোভিচ। অন্য ম্যাচে তখনও গোলশূন্য থাকায় পয়েন্ট টেবিলে চার থেকে দুই নম্বরে উঠে আসে সার্বিয়া।

তাদের সেই স্বস্তি যদিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৪৪তম মিনিটে ২-২ অভিন্ন ফেরায় সুইজারল্যান্ড। টেবিলেও আবার দুইয়ে উঠে আসে তারা।ডান পক্ষ থেকে সিলভান উইডমারের পাসে কাছ হতে বল জালে পাঠান এমবোলো। ক্যামেরুনে উৎপত্তি নেওয়া এ ফরোয়ার্ডের আসরে গোল হলো দুটি।