মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত: ডিবিপ্রধান

পুলিশের সঙ্গে বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনে অবস্থান নেয় পুলিশ। এই ঘটনার পর গতকাল বৃস্পতিবার সকালে থেকে সন্ধা পর্যন্ত নাইটেঙ্গেল মোড় থেকে পল্টন-আরামবাগের রাস্তা বন্ধ ছিল। রাতে এই রাস্তাটি ছেড়ে দিলেও শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে আবারও ব্যারিকেড বসিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে পুলিশ।

Dec 9, 2022 - 14:29
Dec 13, 2022 - 16:49
 0
মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত: ডিবিপ্রধান
ছবি- সংগৃহীত

ঢাকা: বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর থেকে সেখানে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আজও (শুক্রবার) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। এছাড়াও বিএনপি কার্যালয়ের সামনের পথে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পুলিশ এবং সাংবাদিক ব্যতীত ওই এলাকায় কেউ চলাচল করতে পারছে না। 

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিস অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত পথে যাতায়াতকারী অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে সে পথে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। 

গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঝুলছে তালা। বিএনপির নেতাকর্মীদের নাই কোনো আনাগোনা। পুরো এলাকা রয়েছে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। এর প্রথমে বিগত বুধবার বিকেলে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

নাইটিঙ্গেল মোড় হতে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত রাস্তার দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সকাল থেকেই পথ অফ রয়েছে। এই সড়কে গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন ছাড়া কাউকে চলাচল করতে দেওয়া হলো না।

এদিকে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৪৭৩ নেতাকর্মীর নামোল্লেখসহ অজানা এইরকম দেড় থেকে দুই হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করেছে।

গত বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের  হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। এসময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল, পানি, খিচুড়ি, নগদ টাকা এবং বিস্ফোরকদ্রব্য পাওয়া যায় বলা হয়ে থাকে জানায় পুলিশ।

অভিযান চলাকালে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মার্কেটিং সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহŸায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow