আতঙ্কে যাত্রী কমেছে দূরপাল্লার বাসে

আজ (শুক্রবার) সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়,বেশিরভাগ বাস কাউন্টার ফাঁকা। এমনকি যাত্রী সংকটে বেশ কয়েকটি কাউন্টার বন্ধও রয়েছে। কর্মীরা হাঁকডাক করলেও প্রত্যাশামাফিক যাত্রী পাচ্ছেন না। কোনো যাত্রী টার্মিনালে প্রবেশ করলে পরিবহন শ্রমিকরা ছুটে যাচ্ছেন তার দিকে।

রাজধানী এক্সপ্রেসের সহযোগী বিল্লাল হোসেন বলেন, অন্যদিনের তুলনায় আজ যাত্রীর পরিমান কম। সকাল থেকে মাত্র দুইটি বাস ছেড়ে গেছে। অথচ এ সময়ে তিন থেকে চারটা বাস ছাড়ে। এ দিক থেকে যাচ্ছেও কম,ওদিক থেকে আসছেও কম। 

চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের কর্মী হাফিজ উদ্দিন বলেন, আতঙ্কের কারণে যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। যে কয়টা বাস ছাড়লাম, একটাও পুরো যাত্রী ভরেনি। কয়েকটা সিট ফাঁকা নিয়েই বাস ছাড়ছে।

মাগুরা যাওয়ার টিকিট কেটেছেন রামপুরা নিবাসী সেলিনা বেগম। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, আমার বাবা হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। একারণে তাকে দেখতে যাচ্ছি। একটা ভয় কাজ করছিল যে কোনো সমস্যা হয় কি না বা গাড়ি পাব কি না। কিন্তু বর্তমান পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি।

পল্টনের ১টি ছাপাখানায় কাজ করেন আব্বাস উদ্দীন। যশোরের উদ্দেশে  করার জন্য টিকিট কেটে কাউন্টারে অপেক্ষা করছিলেন। ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হলে উনি বলেন, গ্রামে জমিজমা নিয়ে একটা সমস্যা চলছে। এইজন্য বাড়ি যাচ্ছি। তবে এখানে এসে বাস পেতে কোনো সমস্যা হয়নি। তা সত্ত্বেও যাত্রী কম থাকায় দেরি করে বাস ছাড়ছে।  

একই কথা জানান কাউন্ডার সংশ্লিষ্টরাও। কুষ্টিয়াগামী এসবি সুপার ডিলাক্স কাউন্টারের ম্যানেজার জিল্লুর রহমান বলেন,মূলত আতঙ্কের কারণেই যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। আমাদের গাড়ির কোনো  নেই। কাউন্টারে এলেই টিকিট পেয়ে যাচ্ছেন যাত্রীরা।

মাগুরাগামী পূর্বাশা পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, শুক্রবারে স্বাভাবিকভাবে যাত্রী সংখ্যা অধিক থাকে। কিন্তু আতঙ্কের জন্য আজ যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। অনেকেই ভাবছেন গাড়ি আছে কি না বা গাড়ি ঘটছে কি না। একই আতঙ্কে অনেকে ঢাকাও আসছেন না। ফলে জেলা থেকে আগত বাসগুলো প্রায় ফাঁকাই থাকছে।