পাঁচ বিক্ষোভকারীকে মৃত্যুদণ্ড দিল ইরান সরকার
তেহরান, ০৭ ডিসেম্বর – হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভের সময় আধাসামরিক বাহিনীর এক সদস্যকে হত্যার দায়ে ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ইরানের আদালত
ইরানে বিভিন্ন অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ঘটনা মাত্রা ছাড়িয়েছে। চলতি বছর বর্তমান পর্যন্ত দেশটির ৫০০–এর অধিক মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। বিশেষত নীতি পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুকে ভিত্তি করে বিগত সেপ্টেম্বর মাস হতে চলা বিক্ষোভ দমাতে মৃত্যুদণ্ডকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে ইরান, এমনটাই অভিযোগ কর্তৃত্ব সংগঠনগুলোর। সংবাদ রয়টার্স এবং এএফপির।
তেহরান, ০৭ ডিসেম্বর – হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভের সময় আধাসামরিক বাহিনীর এক সদস্যকে হত্যার দায়ে ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ইরানের আদালত। মঙ্গলবার ফান্সের একটি বার্তা সংগঠন এ তথ্য জানিয়েছে। এ মামলায় ১৩ জন পুরুষ ও তিন নাবালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। এদের সবাইকে সাজা দেয়া হয়েছে।
বিচার বিভাগের মুখপাত্র মাসুদ সেতাইশি জানিয়েছেন, রুহুল্লা আজামিয়া নামের ওই সেনাকর্মীর মৃত্যু হয় ৩ নভেম্বর। ১৬ জনের ১টি দল তাকে ঘিরে ধরেছিল। তাদের পাথর ও ছুরির আঘাতেই মৃত্যু হয় আজামিয়ার। অভিযুক্তদের কারও পরিচয়ই প্রকাশ করা হয়নি। অভিযুক্তরা চাইলে তাদের সাজা পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাতে পারবেন। এই বিষয়ে বিচার বিভাগের মুখপাত্র মাসুদ সেতায়েশি ১টি সরকারী প্রতিবেদনে উক্ত অভিযোগের সমর্থনে কোনো প্রমাণ দেননি। কর্মকর্তারা দণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ জনের পরিচয়ও পাবলিশ করেনি। তারা বলেছেন যে, এ সাজার বিপক্ষে আবেদন করা যেতে পারে।
১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু হয় মাহসা আমিনি নামে এক তরুণীর। এর পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয় সহিংস বিক্ষোভ। ২১ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভ চলাকালে হাদিস নাজাফি অন্য তরুণীর মৃত্যু হয়। নাজাফির মৃত্যুর প্রতিবাদে নভেম্বরে স্বজনরা বিক্ষোভ করেন। এই সময় বিক্ষোভকারীরা আজামিয়ার ওপর হামলা চালায়। সরকার দাবি করেছে, প্রচলিত হত্যাকাণ্ডটি তেহরানের নিকটবর্তী কারাজে সংঘটিত হয়েছিল। বিগত ১২ নভেম্বর একদল মানুষ যখন রুহুল্লাহ আজমিয়ান ও তার বাহিনীকে ছুরি এবং পাথর নিয়ে আক্রমণ করে, তখন রুহুল্লাহ আজমিয়ান নিহত হন
What's Your Reaction?