লাহোরের সাড়ে চারশ পাম্পের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশে পেট্রোল নেই
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের জ্বালানি স্টেশনগুলোতে পেট্রোল পাওয়া যাচ্ছে না। জ্বালানি তেলের দুষ্প্রাপ্যতা এবং সরকারের হুঁশিয়ারির মধ্যেই এ ঘাটতিতে দৈনন্দিন জীবনে ভোগান্তি নেমে এসেছে।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের জ্বালানি স্টেশনগুলোতে পেট্রোল পাওয়া যাচ্ছে না। জ্বালানি তেলের দুষ্প্রাপ্যতা এবং সরকারের হুঁশিয়ারির মধ্যেই এ ঘাটতিতে দৈনন্দিন জীবনে ভোগান্তি নেমে এসেছে। পাঞ্জাবের শহরাঞ্চলের চেয়ে প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে জ্বালানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। অনেক জ্বালানি স্টেশনে গত এক মাস ধরে তেলের সরবরাহ বন্ধ।
সংবাদপত্র ডন জানাচ্ছে, অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামঅনেকটা বেড়েছে, ডলারের তুলনায় রুপির দাম কমেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি যতটা কম সম্ভব দাম বাড়িয়েছেন। তার দাবি, গত চার মাসে পেট্রোল-জিদেলের দাম বাড়েনি।
________________________________________________________________________
আরও পড়ুনঃ খালেদা জিয়ার পঞ্চম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে বিবৃতি : মির্জা ফখরুল
________________________________________________________________________
হঠাৎ কেন এই ঘোষণা করা হলো, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, তেল ও গ্যাস সংক্রান্ত রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। তারপর কিছু জায়গাপেট্রোল-ডিজেল মজুদ করে রাখার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তাই তাড়াতাড়ি দাম বাড়ানো হলো।
পিপিডিএ’র তথ্য সম্পাদক খাজা আতিফের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম ডন জানিয়েছে, বর্তমানে লাহোরের সাড়ে চারশ পাম্পের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশে পেট্রোল নেই।
পাকিস্তানের হাতে এখন দুই লাখ ৬৬ হাজার টন পেট্রোল মজুত আছে। যা দিয়ে ১২ দিনের চহিদা মিটবে। তবে পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়ার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সেখানে সাত ও পাঁচদিনের পেট্রোল-ডিজেল মজুত আছে। গত কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানের তেল সংস্থা ও রেগুলেটরি অথরিটি জানাচ্ছিল, সেট্রাল ব্যাঙ্ক বিদেশি মুদ্রা খরচের ক্ষেত্রে রীতিমতো টানাটানি করায় তারা উপযুক্ত পরিমাণে তেল কিনতে পারছেন না। ফলে দেশে তেল-সংকট থাকবে
What's Your Reaction?