দিনে দুশো এসি বিক্রি হচ্ছে কলকাতার দোকানে
ঢাকার মতো অতিষ্ট গরমে কাহিল কলকাতাও। আর এই গরম থেকে বাঁচতে এসির দোকানে রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু দিন আগেও যে সব দোকানে চাহিদা ছিল সপ্তাহে ২০টির মতো, সেটাই এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে দিনে ২০০টি! হঠাৎ এসির এই চাহিদা বৃদ্ধিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। এমনও হচ্ছে অর্ডার হওয়ার পর ডেলিভারির জন্য সাত-দশ দিন সময় লাগছে। এরপর তা ইন্সটল হতে আরও দুইদিন।
‘কোনও ভাবেই আট দিনের আগে এসি বাড়ি পৌঁছে দিতে পারব না! ১০ দিনই ধরুন। তার পরে বাড়িতে মিস্ত্রি গিয়ে এসি লাগাতে আরও দু’দিন। এসি কেনার পরে ডেলিভারি নিয়ে এই ক’টা দিন লাগবেই এখন। এ বার যদি মনে করেন, তা হলে এসি পছন্দ করুন, না-হলে কয়েক দিন পরে আসুন।’’— কসবার বৈদ্যুতিক সামগ্রী বিক্রির দোকানে এসি কিনতে আসা এক ক্রেতাকে এ কথাই সাফ জানাচ্ছেন বিক্রেতা। কার্যত একই ছবি শহরের সর্বত্র। তাপপ্রবাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শহরের ঘরে ঘরে বাতানুকূল যন্ত্র লাগানোর চাহিদা যে ভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তাতে বাড়িতে এসি পৌঁছে দেওয়া নিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। ফলে এসি কেনার পরেও ‘ডেলিভারি’ দিতে সময় চাওয়া হচ্ছে কোথাও ৭ দিন, কোথাও ১০ দিনেরও বেশি। এমনকি, একাধিক দোকানে আবার এসির মডেলের উল্লেখ করে ‘স্টক নেই’ স্টিকারও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা নিয়ে এখনই কোনও আশার কথা শোনাতে পারছেন না বিক্রেতারা। উল্টে বলছেন, ‘‘এটা এখন আমাদের হাতে নেই।’’ কেউ আবার মজার ছলে বলছেন, ‘‘বৃষ্টি হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’’
পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, সেটা নিয়ে এখনই কোনো আশার কথা শোনাতে পারছেন না বিক্রেতারা। কেউ আবার মজার ছলে বলছেন, বৃষ্টি হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
বিক্রেতাদের দাবি, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর এসির চাহিদা কয়েক গুণ বেশি। আগে গরমকালে যেসব বড় দোকানে দিনে ৫০টি এসি বিক্রি হতো, এখন সেসব দোকানেই ১৫০-২০০ এসি বিক্রি হচ্ছে।
একটি দোকানের ম্যানেজার বলেন, গত তিন বছরে কোভিডের কারণে এসি বিক্রির পরিমাণ কমে গিয়েছিল অনেকটাই। তবে তার আগে গরমকালে দিনে ৫০টির মতো এসি বিক্রি হতো। কিন্তু এ বারের চাহিদা সব কিছু ছাড়িয়ে গেছে। এমন কোনো বছর হয়নি। তাই গোলমাল এড়াতে বিল করার আগে সবটা ক্রেতাদের জানিয়ে দিচ্ছি। তারপরেও তারা নিতে চাইলে তবেই বিল করা হচ্ছে।
What's Your Reaction?