‘স্টারশিপের’ সফল পরীক্ষা শেষ করল ইলন মাস্কের স্পেসএক্স
চাঁদ ও মঙ্গলে অভিযান চালানোর উপযোগী এমন শক্তিশালী রকেট ইঞ্জিনগুলোর নতুন একটির পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে ইলন মাস্কের মহাকাশ প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স
চাঁদ ও মঙ্গলে অভিযান চালানোর উপযোগী এমন শক্তিশালী রকেট ইঞ্জিনগুলোর নতুন একটির পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে ইলন মাস্কের মহাকাশ প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। মূলত রকেট ইঞ্জিনগুলো যে বুস্টারে লাগানো হয়েছে, তা স্পেসএক্সের সবচেয়ে বড় রকেট স্টারশিপ উৎক্ষেপণে ব্যবহার করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসেই অরবিটালে যাওয়ার টেস্ট ফ্লাইটে অংশ নেবে স্টারশিপ।
পরীক্ষাটি অল্প কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়। এসময় রকেটটি স্থির ছিল।
পরীক্ষার ফলাফল সন্তুষ্টজনক হওয়ায় আগামী মাসেই অরবিটালে যাওয়ার টেস্ট ফ্লাইটে অংশ নেবে স্টারশিপ। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
যখন এটি প্রথম যাত্রা করবে তখন স্টারশিপ হবে ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী অপারেশনাল রকেট সিস্টেম।
টুইটারে ইলন মাস্ক বলেছেন, পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে একটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। পরে আরেকটি ইঞ্জিনও নিজে থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সুতরাং ৩১টি ইঞ্জিন সামগ্রিকভাবে শ্যুট (থ্রাস্ট উৎপন্ন) করেছে। এই শক্তি অরবিটালে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট।
________________________________________________________________________
আরও পড়ুনঃ লাহোরের সাড়ে চারশ পাম্পের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশে পেট্রোল নেই
________________________________________________________________________
এক ভিডিওতে দেখা গেছে, পরীক্ষা চলাকালে বুস্টারের গোড়া থেকে কমলা অগ্নিশিখা দৈত্যাকার চাদর বেরিয়ে আসে এবং ধোঁয়ার মেঘ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় ৬৯ মিটার (২৩০ফুট) বুস্টারটি মাটিতেই নোঙর করা ছিল, যাতে উড়তে না পারে।
পরীক্ষার আগে স্পেসএক্সের প্রেসিডেন্ট ও চিফ অপারেটিং অফিসার গুয়েন শটওয়েল বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটন ডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, যদি পরীক্ষাটি সফল হয় তবে প্রথম অরবিটাল উৎক্ষেপণ পরে (মার্চে) হতে পারে। আর এটি সত্যিই চূড়ান্ত গ্রাউন্ড টেস্ট।
এই মহাকাশ যানটি নিয়ে উচ্চ আশা ইলনের। উদ্যোক্তা এটিকে উপগ্রহ ও মানুষকে পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠাতে ব্যবহার করতে চায়।
তিনি ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে বা মার্চে পুরো স্টারশিপ রকেট অরবিটালে পাঠানো প্রচেষ্টার কথা বলেছেন।।
What's Your Reaction?