রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে হচ্ছে নিষিদ্ধ পপির চাষ
সৌন্দর্য বর্ধনের নামে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে হচ্ছে নিষিদ্ধ পপির চাষ। অথচ কিছুই জানে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।বাগান পরিচর্যাকারীর দাবি, স্থানীয় বিভিন্ন নার্সারি থেকেই আনা হয়েছিলো এসব গাছ। আর নার্সারিতে আসছে ভারত থেকে। এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, নিষিদ্ধ পপির গাছ ও বীজ সরবরাহকারীদের শনাক্তে মাঠে নেমেছে তারা।
সৌন্দর্য বর্ধনের নামে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে হচ্ছে নিষিদ্ধ পপির চাষ। অথচ কিছুই জানে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।বাগান পরিচর্যাকারীর দাবি, স্থানীয় বিভিন্ন নার্সারি থেকেই আনা হয়েছিলো এসব গাছ। আর নার্সারিতে আসছে ভারত থেকে। এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, নিষিদ্ধ পপির গাছ ও বীজ সরবরাহকারীদের শনাক্তে মাঠে নেমেছে তারা।
হাওয়ায় দুলছে লাল রঙের ফুল, কোনোটির পাপড়ি ঝরে গিয়ে ধরেছে ফলও। কিন্তু এগুলো নিষিদ্ধ পপি ফুল, যা ব্যবহার করা হয় ভয়ংকর সব মাদক তৈরিতে। এমন অসংখ্য পপি ফুলে ছেয়ে আছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল বিভাগের বাগান।
________________________________________________________________________
আরও পড়ুনঃ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
________________________________________________________________________
আফিম, হেরোইন ও মরফিনের মতো মাদকের অন্যতম কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় পপি গাছের ফল।
রুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শামীম আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে এর চাষ নিষিদ্ধ হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে এলো তা জানা নেই।
আর বাগান পরিচর্যাকারী মাহবুব মালি বলছেন, নার্সারি থেকে আনা অন্যান্য গাছের সাথে এসেছে এই গাছ। অন্যদিকে, নার্সারির কর্মচারিরা বলছেন, ভারতের সীমান্ত থেকে প্রায়ই আসছে বীজ।
রাজশাহী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এর আগেও নগরীর সরকারি দফতরে নিষিদ্ধ পপি চাষের খবরে অভিযান চালিয়েছিলো মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। কিন্তু কীভাবে তা ছড়িয়ে পড়ছে সে তথ্য নেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছেও।
রাজশাহী র্যাব-৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর হাসান মাহমুদ বলেন, সৌন্দর্য বর্ধনের নামে বিভিন্ন নার্সারির মাধ্যমেই নিষিদ্ধ পপির বীজ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সারা দেশে, বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চক্রটিকে চিহ্নিত করতে একাধিক টিম কাজ করছে।
What's Your Reaction?