প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে পারেন : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে পাকিস্তানের আমাদের চেয়ে শক্তিশালী আত্মসামাজিক কোনো বিষয়ই নেই, শক্তিশালী তাদের শ’খানেক পরমাণবিক বোমা আছে। আমাদের নিকট বিধ্বংসী বোমা নেই। তাছাড়া আরেক কোনো অংশে পাকিস্তান আমাদের বিট করতে পারেনি।

বঙ্গবন্ধুর ১টি উদ্ধৃতি উল্লেখ করে কাদের বলেন, আত্মশক্তি হচ্ছে মূল কথা। সেই আত্মশক্তিতে আমরা আজকে বলিয়ান একটা জাতি। সারা জগতে মহামন্দা তক্ত বার্তাস। এ তক্ত বাতাসের আচঁ আমাদের এখানেও লেগেছে। সংকটের মধ্যে শেখ হাসিনাই এক মাত্র নেতা, যিনি সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে পারেন।

আজ (১৮ ডিসেম্বর) সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আয়োজিত আলোচনা সভার স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সমিতিতে অনুষ্ঠানটি সভাপত্বি করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত আগস্ট মাসের পাকিস্তানের ১টি পত্রিকার উদ্ধৃতি দ্বারা ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তানের পত্রিকা এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়শী প্রশংসা করে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতকোত্তর পাকিস্তানের এক প্রদেশে সাবেক মুখ্য সচিব সাহেব ১টি নিবন্ধন লিখেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, পাকিস্তানের তুলনায় ১৯৭০ সালে দেশটি ৭৫ শতাংশ দরিদ্র ছিল। কিন্তু সম্প্রতি পাকিস্তানের চেয়ে ৪৫ শতাংশ ধনী। স্বাধীনতা চেয়ে, স্বাধীনতা এনে বঙ্গবন্ধু ভুল করেননি। পাকিস্তানের ১৫৪৩ ডলারের তুলনায় বাংলাদেশে সম্প্রতি মাথা পিছু আয় ২ হাজার ২২৮ ডলারে ওপরে।

এটি পাকিস্তানের ওই পত্রিকার সংখ্যা। ইদানিং বাংলাদেশ পাকিস্তানের তুলনায় জিডিপি ৪৪৩.৩২ বিলিয়ন। পাকিস্তান ৩০৭.১৯ বিলিয়ন ডলার।
ধার ক্যাপিট্যাল আয় বাংলাদেশ ২ হাজার ৮২৪, পাকিস্তান ১৬৫৮। জিডিপি গ্রোথ ৭.৫ শতাংশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ২ শতাংশ। ইউএস ডলার আমাদের ১০৪ টাকায় ৬২ পয়সা। পাকিস্তানের ২২৫ টাকায় ৯২ রুপি। আমাদের ডাবলের চেয়ে প্রচুর কম। মানুষের গড় আয়ু হিসেবে আমাদের ৭৩, পাকিস্তানের ৬৭ বছর।

রিজার্ভ আমাদের ৪৮ থেকে বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে ৩৪ বিলিয়ন, পাকিস্তানের ৬.৭ বিলিয়ন এ মুহূর্তে। স্বাক্ষরতায় আমাদের ৭৪.৬ আর পাকিস্তানে ৫৮ শতাংশ। আমি তুলনামূলক চিত্রটা তুলে ধরলাম এ কারণে যে, পাকিস্তান হতে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনে, এই বিজয় ছিনিয়ে এনে, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা বিন্দুমাত্র ভুল করেননি।

তিনি বলেন, সকল শিক্ষাই আছে, আমরা শেখ হাসিনার কাছ হতে শিখব। এই পরিবার হতে শিক্ষার আছে। আজকে সততা, সাহস কোথাও যেতে হবে না, কোনো মনীষী নিবন্ধন পড়তে হবে না। আমাদের জাতির পিতা থেকে আমরা শিক্ষা নেব। এ জনপদে বঙ্গবন্ধু নেই, এই জনপদে শেখ হাসিনাও একদিন থাকবেন না। অথচ  তাদের উত্তরাধিকার বেঁচে থাকবে। স্বাধীনতার উত্তরাধিকা বেঁচে থাকবে, বেঁচে থাকবে মুক্তির উত্তরাধিকার।

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।