নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার নির্দেশ

নির্বাচনের আগে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আবার আসতে পারে এমন আশঙ্কায় বহির্বিশ্বে থাকা বাংলাদেশের সব দূতাবাস এবং মিশনকে সতর্ক থাকতে  হয়েছে। সতর্কতার নির্দেশ সম্বলিত একটি চিঠি ইতিমধ্যে দূতাবাস ও মিশনপ্রধানদের পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।

২০২২ বর্ষের ৩১ ডিসেম্বর পররাষ্ট্রসচিব ‘একতরফা নিষেধাজ্ঞার’ মতো অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ আপিল বিভাগে মির্জা ফখরুল-আব্বাসের জামিন বহাল

চিঠির ব্যাপারে ইউরোপে নিয়োজিত একটি দেশের রাষ্ট্রদূত গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। ওই চিঠি পাঠানোর একদিন পর ১ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই কে আব্দুল মোমেন এক অনলাইন বৈঠকে নির্বাচনের বছরে সতর্ক থাকার জন্য বিদেশে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের আদেশ দেন।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, পররাষ্ট্রসচিবের পাঠানো চিঠিতে সাম্প্রতিক বৈশ্বিক এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দূতাবাসগুলোকে এইরকম সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। র‍্যাবের নাম উল্লেখ না করে চিঠিতে এর প্রথমে ‘এলিট’ আইন প্রয়োগকারী কোম্পানি ও এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপর মার্কিন একতরফা নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবা করিয়ে দেওয়া হয়।

আরও জানানো হয়, এখন যেকোনো অজুহাতে সরকারি সংস্থার ও এর কর্মকর্তাদের উপর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে মনে করার বহু কারণ রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

এই অবস্থায় সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ক্ষতিকর তৎপরতা রুখে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতদের নিজ নিজ দায়িত্বের এলাকায় অতিমাত্রা সতর্ক ও সজাগ থাকতে চিঠিতে নির্দেশনা দেন পররাষ্ট্রসচিব।

পররাষ্ট্রসচিবের এই সতর্কতামূলক চিঠি দেওয়াকে একটি ‘সঠিক উদ্যোগ’ বলা হয় মনে করেন আন্তর্জাতিক রিলেশন বিষয়ে সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত ১টি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের একজন সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারের বিপক্ষে নিষেধজ্ঞা আনার জন্য তৎপরতা আছে, এটি ঠিক। আগেই সতর্ক থাকলে র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞাও হয়তো এড়ানো যেত।

আরও পড়ুনঃ বিদ্যুতের দাম ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ২১ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ

গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ২০২১ বছরের ১০ ডিসেম্বর র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও এর সাবেক এবং বর্তমান সাত কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্য ও কানাডার সাথে সমন্বয় করে জারি হয়েছিল এ নিষেধাজ্ঞা। বর্তমান ইলেকশনের আগের সালের ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাসগুলোর সঙ্গে একধরনের টানাপোড়েন চলছে। ঠিক এমন সময়ে নিজের দূতাবাস এবং মিশনগুলোকে সতর্ক করল মন্ত্রণালয়।