ইউরোপে সর্বোচ্চ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের : ৪৩.২১ শতাংশ
ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের সৃষ্টি বস্ত্র রপ্তানি বেড়েছে ৪৩ দশমিক ২১ শতাংশ। সম্প্রতি ২০২২ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের সৃষ্টি বস্ত্র রপ্তানি বেড়েছে ৪৩ দশমিক ২১ শতাংশ। সম্প্রতি ২০২২ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) পোশাক আমদানির সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ইউরোপ ভিত্তিক পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট।
পোশাক মালিকদের সংস্থা বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় ইউরোপে বাংলাদেশের কাপড় রপ্তানি বহু হয়েছে। ইউরোপের ক্ষেত্রে এটা আমাদের জন্য সুসংবাদ।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময়েও বায়ারদের কাছে আমাদের অবস্থান ভালো। আশা করছি বর্তমান মন্দা কাটিয়ে উঠলে বাংলাদেশ আরও অধিক ভালো অবস্থানে যেতে পারবে।
আরও পড়ুনঃ আওয়ামী লীগে কাদেরের ‘হ্যাটট্রিক’, নাকি আসছে অন্য কেউ
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখিত সময়ে বাংলাদেশ থেকে ইইউয়ের কাপড় আমদানি বেড়েছে ৪৩ দশমিক ২১ শতাংশ। এতে সর্বমোট আমদানির হিসাব ১৭ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে সারা বিশ্ব থেকে তাদের আমদানি বেড়েছে ২৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
আগের মতোই ২২ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ইউরোপের পোশাক আমদানিতে ২য় বৃহত্তম উৎস বাংলাদেশ। এছাড়া ২৯ দশমিক ০৪ শতাংশ শেয়ার নিয়ে শীর্ষে রয়েছে চীন। ২০২২ বছরের ১ম নয় মাসে চীন হতে ২২দশমিক ৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের কাপড় আমদানি করেছে ইইউ। যেখানে বছরওয়ারী প্রবৃদ্ধি ছিল ২৫ দশমিক ১৯ শতাংশ।
তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক আমদানির উৎস তুরস্ক হতে ইইউয়ের আমদানি পৌঁছেছে ৯ দশমিক ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এতে বছরওয়ারী প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। অন্যদিকে, ভারত থেকে ইইউয়ের আমদানি বেড়েছে ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
ইইউয়ের শীর্ষ দশ কাপড় সরবরাহকারীর মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধিসহ অন্যান্য দেশগুলো হলো—কম্বোডিয়া ৪১ দশমিক ০৮ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ৩৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং পাকিস্তান ৩০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
What's Your Reaction?