র‍্যাবের হাত থেকে হত্যা মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ

বগুড়ার সাতমাথা  থেকে বহিষ্কৃত এক ছাত্রলীগ নেতাকে র‍্যাবের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে সাতমাথা চত্বরের মুজিব মঞ্চের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম আব্দুর রউফ। তিনি বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত সালের ১১ মার্চ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক তাকবির ইসলাম খানকে কুপিয়ে খুন মামলার সর্বশ্রেষ্ঠ আসামি তিনি। ওই হত্যাকাণ্ডের পর ছাত্রলীগ হতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

আরও পড়ুনঃ কত আসনে ইভিএমে ভোট সিদ্ধান্ত জানুয়ারির মধ্যে : ইসি আলমগীর 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণাকে ভিত্তি করে গত ৭ নভেম্বর থেকে কর্মসূচি-পাল্টা কর্মসূচি পালন হচ্ছিল। ছাত্রলীগ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া, দরজা ভাঙা, অগ্নিসংযোগসহ নানা ঘটনা ঘটে এ সময়ে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় বিক্ষোভ মিছিলের জন্য সাতমাথা চত্বরে মুজিব মঞ্চের সামনে সমবেত হন নিউ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের অনুসারীরা। ওই মিছিলে অংশ নিতে আব্দুর রউফও হাজির হন। মিছিল শেষে তারা পুনরায় মুজিব মঞ্চের সামনে সমবেত হন। এই সময় র‍্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদুল মুবিন খানের নেতৃত্বে র‍্যাব সদস্যরা রউফকে আটক করেন। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা র‍্যাবের হাত থেকে রউফকে ছিনিয়ে নেয়। অতঃপর স্লোগান দিতে দিতে তারা দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন।

রউফকে ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয় বলেন, মিছিলকে কেন্দ্র করে সাতমাথা অঞ্চলে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা ছিলেন। সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে রউফকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, র‍্যাবের হাত হতে তাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি।

ছাত্রলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে র‍্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার তৌহিদুল মুবিন খান বলেন, 'অন্য একজনকে ভেবে তাকে ডেকে নাম-পরিচয় জানার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'

ছাত্রলীগ নেতারা তাকে ছিনিয়ে নিয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাকে তো আটক করা হয়নি। আমরা কথা বলার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে টানাটানি করছিল, নাম পরিচয় না মেলায় আমরা ফিরে এসেছি।’