রিজার্ভ চুরির মামলায় বাংলাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ফিলিপাইনের আপিল

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলা বাতিলে ফিলিপিন্সের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি) যে আবেদন করেছিল তা ইতোমধ্যে বাতিল করেছে নিউইয়র্কের আদালত।  সেই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আপিল করেছে ব্যাংকটি।

সর্বশেষ গত ১৩ জানুয়ারি নিউইয়র্ক ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট যে রায় দিয়েছেন, সেখানে বলা হয়েছে, নিউইয়র্কের ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ক্ষেত্রে রিজল ব্যাংকের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যোগসাজশ ছিল। রিজল ব্যাংকের নিউইয়র্কের হিসাব ও ফিলিপাইন শাখার অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের হেল্প না থাকলে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে এ অর্থ অন্য কোথাও যাওয়ার চান্স ছিল না।

আরও পড়ুনঃ বাইডেনের বাড়ি থেকে আরও গোপনীয় ৬টি নথি উদ্ধার

এ সময় বিচারালয় আসামিদের আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি এ বিষয়ে মধ্যস্থতারও নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ওই আদেশের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ছিল রিজল ব্যাংক কর্তৃপক্ষের। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) তাদের আবেদন আবেদনের বার্তা প্রকাশ করেছে রয়টার্স।

২০১৬ বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি রাত্রিতে নিউইয়র্কের ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হতে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়। কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের দ্বারা পাচার হওয়া এই অর্থ শুরুতে গিয়েছিল ফিলিপাইনের মাকাতি শহরের রিজল ব্যাংকের ৪টি ভুয়া অ্যাকাউন্টে। তারপর ওই স্থান হতে দ্রুত এই অর্থ উত্তোলন করেন হ্যাকাররা। মার্কিন গোয়েন্দা কোম্পানী এফবিআইয়ের সহযোগিতায় দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করা হয়েছে। অবশিষ্ট অর্থ উদ্ধারে নিউইয়র্কের উকিল মামলা করা হয়।

আরও পড়ুনঃ আজ থেকে শুরু হচ্ছে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ২০১৯ বর্ষের ৩১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ফর দ্য সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্ক বা ফেডারেল  ফিলিপাইনের বেসরকারি খাতের রিজল ব্যাংকসহ ২০ মানুষ এবং প্রতিষ্ঠানের বিপক্ষে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে ওই মামলা বাতিলে সংশ্লিষ্ট  অ্যাপ্লাই করে রিজল ব্যাংকসহ ছয় মানুষ এবং প্রতিষ্ঠান। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ফেডারেল আদালত ২০২০ সালের ২০ মার্চ মামলা বাতিলের ওই আপিল পরিত্যক্ত করে মামলাটি ফেডারেল আদালতের বদলে স্টেট কোর্টে পরিচালনার নির্দেশ দেন। অতঃপর নতুন আদালতেও মামলা বাতিলের আবেদন করে রিজল ব্যাংকসহ ছয় আসামি। তাদের এ আবেদনের ওপর একের অধিক দফায় শুনানি হয়।

অবশেষে গত ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশে পক্ষে রায় দেয় নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্ট।