বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ তীব্র গরমে কাটবে
চৈত্রের শেষভাগে শুরু হওয়া তাপপ্রবাহের তীব্রতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। শেষদিনে এসে পৌঁছে গেছে 'তীব্র তাপপ্রবাহ'।বৈশাখের শুরুটা (১৪ এপ্রিল শুক্রবার শুরু হচ্ছে বৈশাখ মাস) এভাবেই কাটবে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দেশের তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গেছে। এটা আরও বাড়তে পারে।
রাজধানীতে গত ৯ বছরের মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি গরম ছিল। বাতাসে আর্দ্রতা অস্বাভাবিক কম থাকায় গরমের সঙ্গে ঠোঁট ও চামড়া ফেটে যাচ্ছে। শরীরে অনুভূত হচ্ছে তীব্র জ্বালাপোড়া।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৈশাখের প্রথম সপ্তাহজুড়ে এই দাবদাহের দাপট থাকতে পারে। আজ শুক্রবার দেশের বেশির ভাগ এলাকায় গতকালের চেয়ে বেশি গরম লাগতে পারে। আগামী তিন–চার দিন এই গরম থাকার পর মাসের শেষ সপ্তাহে গিয়ে মেঘের দেখা মিলতে পারে। কোথাও কোথাও হতে পারে বৃষ্টি। কিন্তু তার আগে এক সপ্তাহ গরমের কষ্ট সহ্য করতে হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে এর চেয়ে বেশি তাপমাত্রা উঠেছিল ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিলে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল বরাবরের মতো চুয়াডাঙ্গায়, ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গতকাল রাজশাহী, পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর, বাগেরহাট, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে। অর্থাৎ ওই জেলাগুলো দিয়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। এর বাইরে রংপুর বিভাগ ছাড়া দেশের বাকি এলাকায় মাঝারি মাত্রার দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে।
১৯৯৫ সালে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল চুয়াডাঙ্গা ও ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা উঠেছিল ১৯৬০ সালে।
আবহাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল, আগামী সপ্তাহের প্রথমার্ধ পর্যন্ত দেশের ওপর দিয়ে মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এক্ষেত্রে রাজশাহী, খুলনা ও ঢাকা বিভাগে দু'এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে তীব্র (৪০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস) আকারে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
What's Your Reaction?