নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জন
নেপালি কর্মকর্তাদের বরাতে ফারাসি বার্তা কোম্পানী এএফপি জানিয়েছে, পাহাড়ি এলাকায় যেখানে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে, ওই স্থান থেকে ইতোমধ্যে ৬৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে
নেপালের পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ৭২ আরোহী নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়ে গিয়েছে বলা হয়ে থাকে জানিয়েছেন দেশটির পুলিশ কর্মকর্তারা।
নেপালি কর্মকর্তাদের বরাতে ফারাসি বার্তা কোম্পানী এএফপি জানিয়েছে, পাহাড়ি এলাকায় যেখানে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে, ওই স্থান থেকে ইতোমধ্যে ৬৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ অফিসার এই কে ছেত্রী এএফপিকে বলেন, ‘৩১টি মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর বিমানটি যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছিল সেখানে এইরকম ৩৬টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে।’
আরও পড়ুনঃ দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার প্রপার্টি : অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
রবিবার সকালে কাসকি জেলার পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও পুরনো বিমানবন্দরের মধ্যবর্তী পাহাড়ি অঞ্চলে দুই ইঞ্জিনের এটিআর ৭২ উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনাকবলিত প্লেনটিতে ৭২ জন আরোহী ছিলেন। আরোহীদের ভিতরে ৬৮ যাত্রী ও চারজন ক্রু। রাজধানী কাঠমান্ডু হতে পোখরার উদ্দেশে যাওয়ার সময় প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কৃষ্ণ ভাণ্ডারি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘উড়োজাহাজটি ভেঙে ভাগ অংশ হয়ে গেছে, ধ্বংসস্তূপের ভিতরে আরও মৃতদেহ মিলবে বলে আমরা আন্দাজ করছি।’ স্থানীয় নানারকম সংবাদমাধ্যমের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ছোট ১টি উড়োজাহাজ অবতরণের সময় আকস্মিক কাত হয়ে সরাসরি ভাবে মাটির দিকে নেমে আসছে। হচ্ছে, পোখারায় দুর্ঘটনায় পড়া বিমানের ভিডিও এটি।
আরও পড়ুনঃ নিষেধাজ্ঞার পর র্যাব সংস্কারে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে
বিবিসি জানিয়েছে, পোখারায় নামার টাইম উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। সামাজিক গণমাধ্যমে আসা ফটো ও ভিডিওতে পাহাড়ি এলাকায় বিমানের জ্বলন্ত ধ্বংসস্তূপের নিকট অগ্নি নেভাতে লক্ষ্য যায় উদ্ধারকর্মীদের । দূর থেকেও কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায় ওই এলাকায়।
দুর্গম হিমালয়ের দেশ নেপালে আবহাওয়া খুব ঘন ঘন বদলায়। সে কারণে প্রায়ই সেখানে আকাশযান দুর্ঘটনা ঘটে। এভারেস্টসহ জগতের ১৪টি সর্বোচ্চ পর্বতের ভিতরে আটটির অবস্থান এই দেশটিতে এবং এ কারণে আবহাওয়া হঠাৎ বদলানো থেকে পারে ও বিমান চলাচলের জন্য বিপজ্জনক অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে। ২০১৮ বর্ষের ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে নামার সময় বাংলাদেশের ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ১টি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হলে ৫১ জনের প্রাণ যায়।গত সালের মে মাসে নেপালের উত্তরাঞ্চলের মুসতাং জেলায় প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনায় ২১ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ তালিকা যাচাই করে ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আজ রবিবার সকাল ১১টার দিকে বিধ্বস্ত হওয়া এই বিমানের ৭২ আরোহীর ভিতরে ১৫ জন বৈদেশিক পর্যটক ছিলেন। কিন্তু কোনো বংলাদেশি যাত্রী ছিলেন না। পোখারা আঞ্চলিক ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরের প্রধান বিক্রম গৌতম বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গৌতম জানান, তারা ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, আর্জেন্টিনা এবং আয়ারল্যান্ডের যাত্রীদের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। তবে উড়োজাহাজে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক ছিল না।
What's Your Reaction?