ঢাবি শিক্ষার্থী হত্যায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন
চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম বিপুকে খুনের দায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত
চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম বিপুকে খুনের দায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস করে কারাভোগ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— বাবু, বাবুল ওরফে চায়না বাবুল, তারিকুল ইসলাম ওরফে মিল্লাত, খায়রুল বাশার ও সুমন ওরফে পাতলা সুমন।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পাঁচজনকে দেওয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন— সোহেল, আলম, আজাহারুল ইসলাম ওরফে পারভেজ, মামুন ও উজ্জল সংশ্লিষ্ট আদালতের সাঁটলিপিকার সোহানুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ূনঃ সোমালিয়ায় গাড়ি বোমা হামলা, নিহত ৩৫
মামলার নালিশ হতে জানা যায়, ২০০৪ বর্ষের ২৬ জুলাই বিকেলে ডেমরার বাড়ি হতে বিপুকে ডেকে নিয়ে যান বাবু। এর ১৫-২০ মিনিট পর বিপুর বাসার গৃহকর্মী বাসায় এসে জানান, বিপু মাথায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বিপুর খালা রোকসানা আক্তার ও প্রতিবেশী সুমন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনঃ মেট্রোরেলের পিলারে পোস্টার অপসারণে ডিএনসিসির অভিযান সোমবার
এ ঘটনায় বিপুর মা লায়লা বেগম ওই দিনই ডেমরা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক সাইদুল ইসলাম ২০০৪ বর্ষের ২৯ নভেম্বর ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় বিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়ে যায় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
২০০৬ বছরের ১২ জুন আসামিদের বিপক্ষে অভিযোগ গঠন করে মীমাংসা শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্য ধারণ করেন।
What's Your Reaction?