জনির বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেবেন অ্যাম্বার!

মানহানির মামলা নিষ্পত্তির জন্য সাবেক স্বামী জনি ডেপকে ১ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করবেন মার্কিন অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। ডেপের পক্ষের আইনজীবীরা বিবিসিকে এই ইনফরমেশন জানিয়েছেন। প্রাক্তন স্বামীর বিপক্ষে মানহানির মামলায় হেরে ব্যাপক অঙ্কের ক্ষতিপূরণ কর্তৃক যাওয়ার আর কোনো উপায় দেখছেন না অ্যাকোয়াম্যান অভিনেত্রী।

আরও পড়ুনঃ ঢাকায় আসছেন অস্কারজয়ী ব্রিটিশ অভিনেত্রী :টিলডা সুইনটন

ইনস্টাগ্রাম পোস্টে উনি লিখেছেন, আমার বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্বামীর দায়ের করা মানহানির মামলার নিষ্পত্তির বিষয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা করে, এই সময়ে এক দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথমেই বলি, আমি এই পথে আসতে চাইনি। শুধু নিজের সত্যরক্ষা করতে আইনী হেল্প নিয়েছি। তা সত্ত্বেও সেটি করতে গিয়েই আমার জীবন বিনাশ হয়ে গেছে। সমাজমাধ্যমে আমি যে অপমানের মুখোমুখি হয়েছি, তা সম্মুখে এগিয়ে আসা নারীদের শিকার হওয়ার যেকোনো অপমানকে ছাপিয়ে গেছে… আর এই জটিলতার মধ্যে থাকতে প্রয়োজন না।

অ্যাম্বার এইরকম জানান, আমেরিকার বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। ইংল্যান্ডের  অনেক বহু সম্মানের সাথে মামলা লড়া যায়। সেখানকার বিচারপদ্ধতিও সঙ্গত, সত্যনিষ্ঠ বলা হয়ে থাকে দাবি তার।

ভার্জিনিয়ার আদালতে জনি ডেপের বিপক্ষে মামলা লড়তে গিয়ে প্রায় সমুদয় সম্পত্তি এবং সঞ্চয় খুইয়েছেন অ্যাম্বার হার্ড। তাকে হারিয়ে মোটা সংখ্যার  দাবি করেছিলেন ডেপ; অথবা তার বিপক্ষে মামলা তুলে নিতে বলেছিলেন। কিন্তু রাজি হননি অ্যাম্বার। 

শুধু আর্থিক কারণে নয়, অ্যাম্বারের বক্তব্য, জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে বিচার হলে আমি কোনো পক্ষ দিয়েই দাঁড়াতে পারব না। হেনস্থা সয়ে আমি ক্লান্ত। যদি আমি বিশেষ আবেদনও জানাই, বিচারকও যদি বদলায়, তবুও আমি নতুন করে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ সাজিয়ে আবার লড়তে পারব না। সেই মানসিকতা নেই, এসবের মধ্যে আর থাকতে চাইছি না।

২০১৮ সালে প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা এবং ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের অভিযোগ তুলেছিলেন অ্যাম্বার হার্ড। এরপরেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জনি। প্রাক্তন স্বামী মিথ্যা বলছেন দাবি করে পাল্টা মামলা করেন অ্যাম্বারও। উভয় মামলার শুনানিতেই বেশ  ছোড়াছুড়ি হয় সাবেক এ দম্পতির মধ্যে।

জনির  অ্যাডাম ওয়াল্ডম্যান এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, তার মক্কেলের বিপক্ষে অ্যাম্বারের আনা ডোমেস্টিক ভালোয়েন্সের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। পরিশেষে মামলার রায় ডেপের পক্ষেই যায়। আদালত অ্যাম্বার হার্ডকে মানহানির  হিসেবে জনি ডেপকে ১৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের নির্দেশ দেন। তবে, সমাপ্ত পর্যন্ত মামলা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিলেন অ্যাম্বার।