খুলনাকে ৪ রানে হারালো কুমিল্লা
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৭। অফস্পিনার মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে বল তুলে দেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। খুলনা টাইগার্সের আশা তখনও বেঁচে ছিল। হার্ডহিটার ইয়াসির আলি রাব্বি যে ছিলেন উইকেটে।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৭। অফস্পিনার মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে বল তুলে দেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। খুলনা টাইগার্সের আশা তখনও বেঁচে ছিল। হার্ডহিটার ইয়াসির আলি রাব্বি যে ছিলেন উইকেটে।
মোসাদ্দেকের ওভারের তৃতীয় আর চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচে টানটান উত্তেজনা তৈরিও করেছিলেন ইয়াসির। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ দুই বলে দরকার ছিল ৮ রান। পঞ্চম বলে ইয়াসির দুই নিতে শেষ বলে দরকার পড়ে ছক্কা। কিন্তু মোসাদ্দেকের ওই বল থেকে এক রানের বেশি নিতে পারেননি খুলনা অধিনায়ক।
টস হেরে
- আগে ব্যাট করতে নামে কুমিল্লা। তাদের ভালো শুরু এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও লিটন দাস। ৫৯ বলে ৬৫ রানের জুটি গড়েন তারা। এরপর ৯ চারে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা লিটন বিদায় নিলেও থিতু হয়ে থাকেন রিজওয়ান। তাকে সঙ্গ দিতে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন চার্লস। রিজওয়ানের সঙ্গে ৩৮ বলে গড়েন ৬০ রানের জুটি।
- ইনিংসের ১৭তম ওভারে চার্লসকে ফেরান ওয়াহাব রিয়াজ। ২২ বলে ৫ ছক্কায় ৩৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটার। শেষদিকে ৪২ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন রিজওয়ান। খুশদিল শাহকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এনে দেন মাঝারি সংগ্রহ। ৪৭ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। খুশদিল করেন অপরাজিত ১৩ রান।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনা টাইগার্সের। দলীয় ১৪ রানে আউট হন তামিম ইকবাল। শুরুতে নট আউট দিলেও পরে কুমিল্লা রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত বদলে যায়। এলবিডব্লিউ আউট হওয়ার আগে ২ চারে ১০ বলে ১১ রান করেন তামিম।
মাত্র ১ রান যোগ হতেই আজম খান আউট হন। আর ১০ রান যোগ করে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের উইকেট হারায় খুলনা।
দলীয় ১৪১ রানে শাই ফেরত যান নাসিম শাহের বলে। ৩২ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। এরপর দলের হাল ধরেন দলীয় অধিনায়ক ইয়াসির আলী।
খেলা জমে ওঠে শেষ ওভারে। এক ওভারে দরকার ছিল ১৭ রান। প্রথম দুই বলে পরপর চার মেরে কুমিল্লা দলে ভীতি ছড়ান খুলনা অধিনায়ক। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
৬ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রানে থেমে যেতে হয় খুলনাকে। কুমিল্লা জয় পায় ৪ রানে।
What's Your Reaction?