আইজিপি হিসেবে আব্দুল্লাহ আল মামুনের মেয়াদ বাড়ল

সোমবার (৯ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তার এই মেয়াদ বাড়ানোর কথা জানানো হয়। তার জবের মেয়াদ আগামী ১১ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানো হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহা. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা-৪৯ অনুযায়ী বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের অফিসার পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে তার অবসরোত্তর ছুটি এবং তদন্ত সংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিতের শর্তে ১২ জানুয়ারি ২০২৩ হতে ১১ জুলাই ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত অথবা যোগদানের তারিখ হতে ১ (এক) বছর ৬ (ছয়) মাস মেয়াদে বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো।

আরও পড়ুনঃ মেট্রোরেল নির্মাণেও বাধা এসেছে: প্রধানমন্ত্রী

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বিসিএস অষ্টম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ১৯৬৪ বর্ষের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের শাল্লা থানার শ্রীহাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। উনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান ব্যাপারে স্নাতকসহ (সম্মান) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। 

বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট (এএসপি) হিসেবে যোগ দেন। গত সালের মে মাসে উনি অতিরিক্ত আইজিপি পদে প্রোমোশন পান। এর প্রথমে তিনি আবরণ রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন।

কর্মজীবনে আবদুল্লাহ আল মামুন পুলিশ সদর দপ্তর, মেট্রোপলিটন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং নানারকম জেলার বিভিন্ন জরুরি ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কাজ করার মাধ্যমে উনি বিশ্ব শান্তিরক্ষার জন্য উজ্জ্বল অবদান রেখেছেন। 

আরও পড়ুনঃ ৯ জানুয়ারি এফডিসিতে বঙ্গবন্ধু চলচ্চিত্র উৎসব

তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর সার্কেল এএসপি, সিরাজগঞ্জের রাইগনজ সার্কেল এএসপি, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সার্কেল এএসপি, চাঁদপুরের অতিরিক্ত এসপি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিএমপি), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এএসপি, এডিসি (ডিএমপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া নীলফামারী জেলার সুপারিনটেনডেন্ট পুলিশ (ডিপি), ডিএমপির ডেপুটি কমিশনার (ডিসি), এআইজি (এস্টাবলিশমেন্ট) ও ঢাকা সদর দপ্তরের এআইজি (গোপনীয়) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি এবং ডিআইজি হন।