পোশাক খাতে নতুন রাষ্ট্র থেকে অর্ডার পেয়েছে বাংলাদেশ

ঢাকা: পোশাক খাতে নতুন একটি রাষ্ট্র থেকে অর্ডার পেয়েছে বাংলাদেশ। এতে ওই রাষ্ট্রটির সঙ্গে বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক সৃষ্টি হয়েছে।

Nov 26, 2022 - 17:59
Nov 26, 2022 - 20:15
 0
পোশাক খাতে নতুন রাষ্ট্র থেকে অর্ডার পেয়েছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ কাপড় খাতে নব ১টি রাষ্ট্র হতে অর্ডার পেয়েছে। এতে ওই রাষ্ট্রটির সঙ্গে বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। আগামী ২০৩০ সালে রাষ্ট্রের পোশাক শিল্পের রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন হবে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ অ্যারেঞ্জমেন্টে এক খবর সম্মেলনে এই ইনফরমেশন জানিয়ে দেন বাংলাদেশ বস্ত্র প্রস্তুতকারী ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি বলেন, এবারের মেড ইন বাংলাদেশ উইক অ্যারেঞ্জমেন্টে আমরা নব ক্রেতা পেয়েছি। তারা কেবল আসেইনি, অর্ডারও কর্তৃক গেছে। তাদের সাথে আমাদের একটা নেটওয়ার্কও হয়েছে। তারা নব প্রোডাক্ট কি চায়, সেটি জানতে আমরা দেশটির কর্মচারীদের অনুষ্ঠানে এনেছি। ফ্যাক্টরিতেও নিয়ে গিয়েছি। তাদের দেখানো হয়ে গিয়েছে আমরা কী ও কীভাবে উৎপাদন করি। আমাদের মূল উদ্দেশ্যেই ছিল নেটওয়ার্কিং করা। নব যে রাষ্ট্রটি বাংলাদেশের বস্ত্র খাতে অর্ডার দিয়েছে সেটি ইরাক।

ফারুক হাসান বলেন, কাপড় খাতে গ্যাস এবং বিদ্যুতের প্রবলেম প্রস্তুত হয়েছিল। শিল্প উদ্যোক্তা, বিশেষ করে প্রস্তুত কাপড় শিল্প উদ্যোক্তারা এই নিয়ে ভয়ের ভিতরে ছিলেন। তবে আশার কথা হলো কাপড় কারখানায় বিদ্যুতের সমস্যা দূর হয়েছে। কারখানায়  অব্যাহত রয়েছে।

বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, আমাদের ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে পণ্য রপ্তানিতে যে সমস্যা হয়ে গিয়ে ছিল তার সমাধান হয়েছে। ঢাকনা বিমানবন্দরে স্ক্যানিং মেশিন জটিলতায় পড়তে হয়ে গিয়েছে একটা সময়। ইদানিং চারটি স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়েছে। আজকাল প্রায় সময়ই স্ক্যানারগুলো অলস পড়ে থাকে। রপ্তানির ক্ষেত্রে আবরণ বিমানবন্দরেও আর কোনো জটিলতা নেই।

আমরা চাচ্ছি আমাদের যতটুকু মার্কেট, সেটারই প্রপার ইউটিলাইজ করতে। এ জন্য আমরা মেগা ইভেন্টটির ব্যবস্থা করি। আমরা চাচ্ছি আমাদের যে জিএসপি অ্যাডভান্টেজ বিদ্যমান বর্তমানে, সেটা কীভাবে এইরকম বাড়াতে পারি। সে চেষ্টাও আমাদের আছে।

আমাদের টার্গেট ছিল ব্র্যান্ড, সাপ্লাইয়ার ও স্টেকহোল্ডারদের নিকট আমাদের পণ্য তুলে ধরা। কীভাবে আমরা আমাদের দেশকে জগতের সম্মুখে তুলে ধরব, সেটাও আমাদের ফোকাস ছিল। ২০৩০ সালে পোশাক শিল্পের রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন হবে। আমাদের মার্কেট শেয়ার এক টাইম ২ হতে তিন শতাংশ ছিল। সন্তপর্ণে সন্তপর্ণে এটি আমরা ১৪ শতাংশ পর্যন্ত করতে পারব।

এজন্য আমাদের ভ্যাট, কাস্টমস, বন্ড ইত্যাদি সোজা করার দাবি জানাই। বিদ্যুতের সমস্যা কেটে গেছে। তবুও গ্যাস নিয়ে আমরা দুঃখ পাচ্ছি। আশা করছি আগামী দিনে এটাও সমাধান হবে।

সম্প্রতি শেষ হওয়া মেড ইন উইক নিয়ে ফারুক বলেন,  ১২ থেকে ১৮ নভেম্বর আমরা বিজিএমইএ’র ইতিহাসে ১ম বারের মতো ৭ দিনব্যাপী মেগা ইভেন্ট উদযাপন করেছি। এ ইভেন্টের থিম ছিল কেয়ার ফর ফ্যাশন। সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনে সামিট, এক্সপোজিশন, ফটো এক্সিবিশন, কনফারেন্স, ফ্যাশন ইনোভেশন রানওয়ে শো, সাসটেইনেবল ডিজাইন এবং ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড, ফ্যাশন ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড, ফ্যাক্টরি ট্যুর, ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিকদের ভ্রমণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নেটওয়ার্কিং ডিনারসহ মোট ১৭টি কর্মসূচি ছিল।

ইভেন্টের সর্বশ্রেষ্ঠ ফোকাস ছিল তিনটি। এক. বস্ত্র শিল্পকে এবং সামগ্রিক বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করা; বিশেষ করে শিল্পের যে যথাৰ্থ রূপান্তর ঘটেছে তা বিশ্ববাসীর সম্মুখে তুলে ধরার দ্বারা শিল্পের ব্র্যান্ডিং করা। দুই. রূপকল্প ২০৩০ বাস্তবায়নের জন্য প্রধান কৌশলগত লক্ষ্যগুলো চিহ্নিত করে শিল্পের জন্য ১টি টেকসই রোডম্যাপ তৈরিতে শিল্পের সকল অংশীজনদের জড়িত করে এই ব্যাপারে তাদের অভিব্যাক্তি নেওয়া। এবং তিন. সরকার, ব্র্যান্ড/ক্রেতা, বিভিন্ন সাপ্লায়ার (টেকনোলজি, মেশিন, এক্সসরিজ সরবরাহকারী), শিল্প সংশ্লিষ্ট সবার সাথে নেটওয়ার্কিং করা।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদসহ পোশাকখাতের উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow