সচিবালয়ে নয়, নিকার ও সচিব সভা হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে

প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন মন্ত্রণাসভা (নিকার) ও সচিব সভা সচিবালয়ে হচ্ছে না। দুইটি সভায়ই আগামী রোববার (২৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হবে বলা হয় মন্ত্রিপরিষদ সেক্টর সূত্রে জানা গেছে। সেইম সাথে সময়ও অপরিবর্তিত থাকছে।

Nov 24, 2022 - 17:03
 0
সচিবালয়ে নয়, নিকার ও সচিব সভা হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে
সচিবালয়ে হচ্ছে না নিকার ও সচিব সভা

দীর্ঘ তিন বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সশরীরে সচিবালয়ে এসে নিকার ও সচিব মিটিংয়ে ভাগ নেওয়ার কথা ছিল। এখন সেটা হলো না। আজকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তা হচ্ছে। সেই অনুসারে পরিকল্পনা নিচ্ছেন কর্মকর্তারা। আগের মতোই বেলা সাড়ে ১১টায় নিকার ও দুপুর ১টায় সচিব সভা সংঘটিত হবে।


প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন মন্ত্রণাসভা (নিকার) ও সচিব সভা সচিবালয়ে হচ্ছে না। দুইটি সভায়ই আগামী রোববার (২৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হবে বলা হয় মন্ত্রিপরিষদ সেক্টর সূত্রে জানা গেছে। সেইম সাথে সময়ও অপরিবর্তিত থাকছে।

বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচটি জেলা নিয়ে ‘পদ্মা’ ও বৃহত্তর কুমিল্লার তিনটি ও নোয়াখালীর তিনটি করে সর্বমোট ছয়টি জেলা নিয়ে ‘মেঘনা’ বিভাগ গড়ন করতে যাচ্ছে সরকার। নিকার সভার আলোচ্যসূচিতে দেখা গেছে, এবারের সমাবেশে সর্বমোট ছয়টি প্রস্তাব উঠছে। ‘পদ্মা’ এবং ‘মেঘনা’ প্রশাসনিক সেক্টর সৃজন ছাড়াও আছে কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাকে ঝাউদিয়া এলাকায় স্থানান্তর করে ‘ঝাউদিয়া থানা’ নামকরণ ও ‘ঝাউদিয়া পুলিশ ক্যাম্প’কে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করে ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্প’ হিসেবে নামকরণের প্রস্তাব উঠছে।

এর প্রথমে  ২ জুন নিকার বৈঠকের তারিখ নির্ধারিত ছিল। ওই মিটিংয়ের আলোচ্যসূচিতে ছিল ‘পদ্মা’ এবং ‘মেঘনা’ ক্যাটাগরি গঠনের প্রস্তাব। অথচ পরে সেই সমাবেশ স্থগিত হয়। এরই মধ্যে কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে সেক্টর করা হয়েছে বলা হয়ে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিত্তিহীন ছড়িয়ে পড়ে।

নতুন আরও দুইটি ক্যাটাগরি হলে দেশে বিভাগের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০টিতে। এর পূর্বের সব বিভাগের নাম স্থানীয় শহরের নামে হলেও এই সময়ে প্রথমবারের মতো দুই নদীর নামে দুইটি বিভাগ থেকে যাচ্ছে।


এছাড়া নব করে উন্নতি প্রকল্প বরণ এবং বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হবে। সচিব সভার আলোচ্যসূচিতে আরও আছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা; কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির টার্গেটে সারের জোগান শিওর করা; পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে করণীয় সঠিক করা; রাষ্ট্রীয় কাজে আর্থিক বিধিবিধান অনুসরণ করা; সরকারি পরিসেবা দেওয়ার জন্য তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারবিষয়ক পরিকল্পনা; ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ড, বান এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রিপারেশন ব্যাপারে পর্যালোচনা এবং সুশাসন ও শুদ্ধাচার নিয়ে আলোচনা।


এক বছরেরও অধিক টাইম পরে সচিব মিটিং হচ্ছে। এর আগে বিগত বছরের ১৮ আগস্ট রাজধানীর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন ঘরে এই বৈঠক হয়েছিল। অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি জয়েন হয়েছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মূলত করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় সচিবদের দিকনির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিশ্লেষণে যে আহার সংকটের পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে, এরই ভিতরে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় এ বিষয়ে নির্দেশনাও দিয়েছেন। খাদ্য  বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী সচিবদের বিশেষভাবে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য পারেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow