ঢাকার সমাবেশ থেকে বিএনপি দিল ১০ দফা

১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিএনপির বিভাগীয় সভা থেকে যে ১০ দফা ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে কোনো চমক বা নতুনত্ব নেই ।

Dec 10, 2022 - 20:47
 0
ঢাকার সমাবেশ থেকে বিএনপি দিল ১০ দফা
ছবি: সংগৃহীত

১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিএনপির বিভাগীয় সভা থেকে যে ১০ দফা ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে কোনো চমক বা নতুনত্ব নেই। গত কয়েক মাস ধরে বিএনপির দিক হতে যেসব দাবি  হচ্ছিল, তুলে ধরা হয়েছে সেগুলোই। এমনকি যুগপৎ আন্দোলনের যে রূপরেখা ঘোষণার কথা নেতারা জানিয়ে আসছিলেন, সেটিও হয়নি। জনসভাস্থল নিয়ে নানা নাটকীয়তা শেষে শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে এ সভা হয়। এতে জাতীয় সংসদ হতে বিএনপির সাতজন সদস্যের পদত্যাগ ছাড়া বাকি  পূর্বের ৯টি বিভাগীয় সমাবেশের মতোই এসেছে।এই কর্মসূচি থেকে বৃহৎ কোনো কর্মসূচি আসার ব্যাপারে যে আলোচনা ছিল, সেটিও হয়নি। এক নেতার বক্তব্য উঠে এসেছে, গোলাপবাগের কর্মসূচি শরীর গরমের মতো, ‘আসল যুদ্ধ’ আসছে পরে। 

ঘোষিত বিএনপির ১০ দফা হলো:

  • ১. বর্তমান জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে ক্ষমতাসীন সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

  • ২. ১৯৯৬ সালে সংবিধানে সংযোজিত নিয়ম ৫৮-খ, গ এবং ঘ’-এর আলোকে ১টি দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার/অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন।

  • ৩. নির্বাচনকালীন টিম উদাসীন সরকার/অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্ববধায়ক সরকার বর্তমান অবৈধ নির্বাচন কমিশন বাদ করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, উক্ত নির্বাচন কমিশন অবাধ নির্বাচনের অনিবার্য পূর্বশর্ত পরিমাণে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করতে আরপিও সংশোধন, ইভিএম উপায় বাতিল ও পেপার ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করা।
  • ৪. খালেদা জিয়াসহ সকল বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী, সাংবাদিক এবং আলেমদের সাজা বাতিল, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রাজনৈতিক কারাবন্দীদের অনতিবিলম্বে মুক্তি, দেশে সভা, সভা ও মত প্রকাশে কোনো বাধা তৈরি না করা,  দলকে স্বাধীনভাবে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে প্রশাসন ও সরকারি দলের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা বাধা তৈরি না করা, স্বৈরাচারী কায়দায় বিরোধী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে নতুন কোনো মামলা ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার না করা।


  • ৫. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী  কালা-কানুন বাদ করা।

  • ৬. বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস এবং পানিসহ জনসেবা খাতের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল।

  • ৭. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনা, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারকে সিন্ডিকেট মুক্ত করা।

  • ৮. গত ১৫ বছর ধরে বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত এবং শেয়ার বাজারসহ দেশীয় সব ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি মার্ক করতে ১টি কমিশন গঠন/দুর্নীতি চিহ্নিত করে অতি দ্রুত যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।

  • ৯.  ১৫ বছরে গুমের শিকার সব নাগরিককে উদ্ধার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা ও দেশীয় নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, উপাসনালয় ভাঙচুর এবং সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিপক্ষে শাস্তিমূলক অ্যারেঞ্জমেন্ট করা।

  • ১০. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন এবং বিচার বিভাগকে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow