গণসমাবেশ থেকে বিএনপির ১০ দফা ঘোষণা

Dec 10, 2022 - 16:37
 0
গণসমাবেশ থেকে বিএনপির ১০ দফা ঘোষণা
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা বিভাগীর গণসমাবেশ চলছে। সভা থেকে বিএনপির পক্ষ হতে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা হতে সমাবেশ শুরু হয়। বিএনপির দিক থেকে যেসব দাবি বলা হয়ে গিয়েছে সেগুলো হলো 

১. সাম্প্রতিক জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ।

২. ১৯৯৬ সালে সংবিধানে সংযোজিত নিয়ম ৫৮-খ, গ এবং ঘ-এর আলোকে ১টি দল নিঃসম্পর্ক নির্বাচনকালীন  বা অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন।

৩. নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্ববধায়ক সরকার, বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে সবার নিকট   একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন। উক্ত ইলেকশন ডিস্কাউন্ট অবাধ নির্বাচনের অনিবার্য পূর্বশর্ত হিসেবে 'লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড' নিশ্চিত করতে আরপিও সংশোধন, ইভিএম পদ্ধতি বাদ ও পেপার ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল।

আরও পড়ুন: সমা‌বেশস্থ‌লে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় বিএনপি নেতাকর্মীরা

৪. খালেদা জিয়াসহ বিরোধীদলীয়  নেতা-কর্মী, সাংবাদিক এবং আলেমদের সাজা বাতিল।  মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং রাজনৈতিক কারাবন্দিদের অনতিবিলম্বে মুক্তি। দেশে সভা, সমাবেশ এবং মত প্রকাশে কোনো বাধা তৈরি না করা।  দলকে স্বাধীনভাবে গণতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় দলের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা বাধা তৈরি না করা। স্বৈরাচারী কায়দায় বিরোধী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে নব কোনো মামলা ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার না করা।

৫. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ ও বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী আইন বাতিল করা।

৬. বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস এবং পানিসহ জনসেবা খাতের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল।

৭. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারকে সিন্ডিকেট মুক্ত করা।

৮.  ১৫ বছর ধরে বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যাংকিং এবং আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত ও শেয়ার বাজারসহ রাষ্ট্রীয় সব ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি চিহ্নিত করতে ১টি ডিস্কাউন্ট গঠন। দুর্নীতি মার্ক করে পরম দ্রুত যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।

৯.  ১৫ সালের গুমের শিকার সব নাগরিককে উদ্ধার ও বিচারবহির্ভূত হত্যা ও দেশীয় নিপীড়নের প্রত্যেকটি ঘটনার দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, উপাসনালয় ভাঙচুর এবং বিত্ত দখলের জন্য দায়ীদের বিপক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।

১০. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন এবং বিচার বিভাগকে সরকারী হস্তক্ষেপ পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow