ইউরোপীয় বাধা পার করতে পারবে ব্রাজিল?
বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে আজ (০৯ ডিসেম্বর) ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিলে। কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে এই দুই দল। বিশ্বকাপে গত ২০ বছরে নক আউটে কোনো ইউরোপীয় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয়ের রেকর্ড নেই ব্রাজিলের।
শেষবার বিশ্বকাপ জয়ের পর ২০ বছর কূল হয়ে গেছে ব্রাজিলের। জাপান-কোরিয়া হতে শেষবার বিশ্বকাপ বিজয়ের পর এইরকম চারটি আসরে খেলেছে ব্রাজিল। এ চার আসরের ভিতরে তিনবারই বিদায় নিতে হয়ে গিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে, আরেকবার সেমিফাইনাল থেকে। এখানেই ক্রোয়েশিয়ার অনুপ্রেরণা এবং এটাই গতবারের রানার্স আপদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে সামনে এগোতে।
প্রতিবার ইউরোপীয় শক্তির কাছেই হার মেনে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে সেলেসাওদের। এবারও ব্রাজিলের সম্মুখে ইউরোপ। ২০০২ বছরের বিশ্বকাপের পর হতে ইউরোপিয়ান দলগুলোর নিকট ব্রাজিলের পরাজয় একপ্রকার নিয়মেই পরিণত হয়েছে যায়। সম্মুখে ক্রোয়েশয়া। সেই ইউরোপের দেশই। কি তবে ঘুচবে আক্ষেপ, ঘুরবে ইতিহাসের চাকা?
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ফেভারিটের মতোই খেলেছে ব্রাজিল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারানোর পর ক্যাসেমিরোর একমাত্র গোলে সুইজারল্যান্ডের সাথে জেতে তিতের শিষ্যরা। গ্রুপ পর্বে সম্পন্ন ম্যাচে অবশ্য ক্যামেরুনের বিপক্ষে সম্পন্ন মুহূর্তের গোলে হারতে হয় সেলেসাওদের। তবে সে ম্যাচে মাঠে নামেননি দলটির তেমন কোনো তারকা স্ট্রাইকার।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে উড়ন্ত জয় আবার আত্মবিশ্বাস ফিরিয়েছে তিতের ক্যাম্পে। নকআউটের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়েছেন নেইমার-ভিনিসিয়াসরা। এইজন্য ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামতে চলেছেন পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
অন্যদিকে জ্লাতকো দালিচের ক্রোয়েশিয়া ১ম ম্যাচে মরক্কোর সাথে ড্র করার পর কানাডাকে হারিয়ে ১ম জয় পায়। গ্রুপের সম্পন্ন ম্যাচে বেলজিয়ামের সাথে ড্র করে এফ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলতে আসে লুকা মদ্রিচরা। সমাপ্ত ষোলর লড়াইয়েও জয়টা সহজে আসেনি ক্রোয়েটদের। জাপানের বিরুদ্ধে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ে ১-১ গোলে ড্র করার পর টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে জিতে সম্পন্ন আটে পা রেখেছে দলটি।
এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে মোট দুইবার মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া। ২০০৬ এবং ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের দুই দেখায় দুবারই সম্পন্ন হাসি হেসেছিল ব্রাজিল। প্রথমবার কাকার গোলে ১-০ তে জয় পায় সেলেসাওরা। আর ২০১৪ নিজেদের মাঠের বিশ্বকাপে ৩-১ গোলে জেতে ব্রাজিল, নেইমার করেন জোড়া গোল।
বিশ্বকাপ ছাড়া আরও দুইবার মুখোমুখি হয়েছে এ দুই দল। তাতেও কখনও ব্রাজিলকে হারাতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। সবশেষ ২০১৮ সালে নেইমার এবং রবার্তো ফিরমিনোর দ্বিতীয়ার্ধের গোলে ২-০ তে প্রীতি ম্যাচ জিতেছিল সেলেসাওরা। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়া কেবল একবারই হার এড়াতে পেরেছিল। ২০০৫ সালে প্রথমবারের দেখায় ড্র করেছিল দুই দল। তবে ঐবারই প্রথম ও ঐবারই শেষ। এরপরার কখনও হার এড়াতে পারেনি গত বিশ্বকাপের রানার আপরা।
What's Your Reaction?