৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ : বিসিআইসির ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট

৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে পৌঁছে না

Jan 5, 2023 - 12:31
 0
৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ : বিসিআইসির ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট
সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা।

৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা।

৫৮২ কোটি অর্থের সার আত্মসাতের ঘটনায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনকে (বিসিআইসি) বর্ণনা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ২০ জানুয়ারির ভিতরে ব্যাখ্যা দিতে  হয়েছে।

পাশাপাশি সার আত্মসাতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কি জন্য অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।

এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেয়।

আদেশে আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনকে এ ব্যাপারে তদন্ত করে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

এ সময় আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এই কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

৫৮২ কোটি ধনের সার আত্মসাতের ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা।

মেসার্স পোটন ট্রেডার্স সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানের (পোটন) মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। কামরুল আশরাফ খান সার ব্যবসায়ীদের কোম্পানি বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, তিনিই মূলত দেশে সারের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন।


সারগুলো খালাস হয়েছিল ২০২১ বর্ষের নভেম্বর হতে ২০২২ বর্ষের ১৫ মের মধ্যে । সার যোগাড় না করার পর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আইনগত আয়োজন নেয়নি বিসিআইসি। সবশেষ গত ২০ ডিসেম্বর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে বিসিআইসির পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow