‘দ্বিতীয় বিশ্বসেরা’ বেলজিয়ামকে বিদায় করে শেষ ষোলোয় ক্রোয়েশিয়া

মূলত ২য় রাউন্ডই ছিল লক্ষ্য। সেটি যেভাবেই হোক। গ্রুপ শ্রেষ্ঠত্বের স্বপ্নটাও হয়তো একটু আধটু নাড়া দ্বারা গেছে মরক্কানদের মনের জানালায়! আজ আল থুমামা স্টেডিয়ামে লক্ষ্য তো পূরণ করেছেই, সাথে স্বপ্নটাও সত্যি করে দেখিয়েছে মরক্কো।

Dec 2, 2022 - 00:45
Dec 2, 2022 - 00:46
 0
‘দ্বিতীয় বিশ্বসেরা’ বেলজিয়ামকে বিদায় করে শেষ ষোলোয় ক্রোয়েশিয়া

২-১ গোলে হারিয়েছে কানাডাকে, সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে গেছে বেলজিয়াম-ক্রোয়েশিয়ার গ্রুপ থেকে সেরা দল হয়ে সম্পন্ন ষোলোয় ওঠাটা। এ্যাভারেজে ফেলেছে ইতিহাসও। এ শতাব্দিতে যে আর কোনো আফ্রিকান দল গ্রুপের সেরা হয়ে নকআউটে পা রাখতে পারেনি!

মরক্কানদের স্বপ্নটা দেখানো আরম্ভ করেন হেকিম জিয়েখ, তাও আবার শুরুর মিনিটেই। গোলরক্ষক করে বসেন সাংঘাতিক এক ভুল। তার মাসুলটা দেয় কানাডা। জিয়েখ ৩ মিনিটে এগিয়ে দেন মরক্কোকে।

দ্বিতীয় গোলটা ২০ মিনিট পরই পেয়ে গেছেন জিয়েখরা। এই যাত্রায় গোলটা আগত ইউসেফ এন নেসেরির পা থেকে। ডান পাশ থেকে পিএসজি ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমির বাড়ানো বলটা কানাডিয়ান রক্ষণকে অবহেলা দ্বারা খুঁজে পায় নেসেরিকে।  থেকে তার শট আর গোল। দুই গোলে এগিয়ে মরক্কানদের সামনে তখন গ্রুপ সর্বসেরা হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার অসাধারণ সুযোগ। দিনের আরেক ম্যাচে যে গোল পায়নি বেলজিয়াম-ক্রোয়েশিয়ার কেউ!

৩৯ মিনিটে নিজেদের ভুলে সে স্বপ্নটা ফিকে হতে বসেছিল মরক্কোর। নায়েফ আগুয়ের্দ বলটা জড়িয়ে দেন নিজেদের জালে। এক গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো।

একটা গোল শোধ করে দ্বিতীয়ার্ধে সাঁড়াশি আক্রমণই চালিয়েছে কানাডা। কিন্তু লাভ হয়নি। সেসব মরক্কান দেয়ালে আটকেছে প্রতিবার। ২-১ গোলের বিজয় নিয়ে সম্পন্ন ষোলোয় চলে যায় আফ্রিকান দলটি।

দিনের ভিন্ন ম্যাচ ড্র হয়েছে, তাই জিয়েখরা ২য় রাউন্ড নিশ্চিত করেন গ্রুপ সর্বসেরা হয়ে। তাতেই গড়া হয়ে গেছে ইতিহাস। আফ্রিকান কোনো দলের শেষ ষোলোয় গ্রুপসেরা হয়ে ওঠার উদাহরণ শেষবার লক্ষ্য গেছে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে। চলতি শতাব্দিতে মরক্কোই এ কীর্তি দেখাল প্রথমবারের মতো।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow