৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে শহীদের রক্ত বৃথা যায়নি: রাষ্ট্রপতি
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ছিল বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের সেরা মাইলফলক মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদের রক্ত বৃথা যায়নি।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ছিল বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের সেরা মাইলফলক মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদের রক্ত বৃথা যায়নি।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, শহীদ মতিউরসহ অন্যান্য শহীদের রক্ত বৃথা যায়নি। গণঅভ্যুত্থানের ফলে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারসহ রাজবন্দিদের ও প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের ক্ষমতা হস্তান্তর ছিল বাঙালির আন্দোলনে বড় অর্জন মাইলফলক। এই গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরেই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার। স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস তুলে ধরে আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধিকার এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি ১টি ঐতিহাসিক দিন। এদিনটি গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসেবে আমাদের মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। রাষ্ট্রের স্বাধিকার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের স্মৃতির প্রতি উনি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, জাতির জন্মদাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি শাসন, শোষণ এবং বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে ১৯৬৬ সালে ৬ দফা ঘোষণা করেন। স্বায়ত্তশাসনসহ ৬ দফা ছিল বাঙালির সনদ। ৬ দফা ঘোষণার পর স্বাধিকার আন্দোলনের গতি তীব্রতর হয়ে যায় ও তা পূর্ব বাংলায় সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং শিষ্য সংগঠনের যৌথ আন্দোলন গণআন্দোলনকে বেগবান করে।
আবদুল হামিদ বলেন, পূর্বের স্বৈরশাসক এই আন্দোলন নস্যাৎ করার জন্য আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে। বঙ্গবন্ধুসহ অন্য আসামিদের মুক্তি এবং সামরিক শাসন প্রত্যাহারের দাবিতে ১৯৬৯ বছরের ২৪ জানুয়ারি কারফিউ ভঙ্গ করে রাজনীতিক-ছাত্র-শিক্ষক-জনতা মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন নবকুমার ইনস্টিটিউট বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষানবিশ মতিউর রহমান।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পুষ্ট বাংলাদেশ গঠনে দায়িত্ব পালনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
What's Your Reaction?