২৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি করবে সরকার
চলমান রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে দেশের চাহিদা মেটাতে ২৫ হাজার টন চিনি আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে পৃথক দুটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব দুটির মাধ্যমে চিনি আমদানিতে সরকারের ব্যয় হবে ১৩৭ কোটি ৯৫ লাখ ৬৮ হাজার ১২৫ টাকা।
বুধবার (১২ এপ্রিল) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষ অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
সাঈদ মাহবুব বলেন, চিনি ক্রয় সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাব আজ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একটি হলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১২ হাজার ৫০০ টন চিনি। যার ক্রয়মূল্য হলো ৬৮ কোটি ৬৭ লাখ ৪৩ হাজার ১২৫ টাকা। যেখানে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়ছে ৮৯.৫০ টাকা। সুপারিশকৃত দরদাতা মালয়েশিয়ান কোম্পানি চিনি বিজো মেরিন এসডিএন বিএইচডি।
অন্যদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) আর একটি প্রস্তাবে ১২ হাজার ৫০০ টন ক্রয় মন্ত্রীসভা অনুমোদন দেয়। মালয়শিয়ান কোম্পানি চিনি বিজো মেরিন এসডিএন বিএইচডি’র কাছ থেকে ৬৯ কোটি ২৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়ছে ৮৮.৭৪ টাকা।
জানা যায়, টিসিবি কর্তৃক ৫০ কেজির বস্তায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি আন্তর্জাতিকভাবে ক্রয়ের জন্য গত ৬ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক চিনি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যুক্তরাজ্যের ‘সোফিবেল ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড’-এর কাছে সরাসরি দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হয়। ব্রাজিলে উৎপাদিত এসব চিনির প্রতি মেট্রিক টনের দাম চাওয়া হয়েছিল ৫১৮ ডলার। এর বিপরীতে চিনির প্রাক্কলিত দর ধরা হয়েছিল প্রতি মেট্রিক টন ৫২১ ডলার। দর কষাকষির মাধ্যমে প্রতি মেট্রিক টন চিনির দর নির্ধারিত হয়েছে ৪৮০ ডলার।
দরপ্রস্তাব অনুযায়ী, চিনি সরবরাহকারী মূল প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব অর্থায়নে চিনির গুণগত মান ও পরিমাণ যাচাইয়ের লক্ষ্যে দরপত্র মূল্যায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অভ্যন্তরীণ বাজারে বেশ কিছুদিন ধরে চিনির মূল্য ক্রমাগতভাবে বাড়ছিল। এ অবস্থায় টিসিবির এক কোটি কার্ডধারী নিম্নআয়ের মানুষদের ক্ষয়ক্ষমতার মধ্যে চিনি বিক্রি করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের পরিপ্রেক্ষিতে এই চিনি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ আমদানি করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন দ্রুত সরবরাহ পাওয়া যাবে অন্যদিকে সরকারি অর্থের ও সাশ্রয় হবে।
What's Your Reaction?